ভিডিও

বাড়ির ভেতর স্বল্প পরিসরে মাছচাষে তিনগুণ লাভে খুশি মাছচাষি

প্রকাশিত: মে ০৬, ২০২৪, ০৭:৩৪ বিকাল
আপডেট: মে ০৬, ২০২৪, ০৭:৩৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

কুড়িগ্রাম জেলা ও রাজারহাট প্রতিনিধি : স্বল্প পরিসরে ভিয়েতনাম কৈ মাছ চাষ করে তিনগুণ লাভ করে খুশি মাছচাষি ওসমান গনি। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ছাটমল্লিক বেগ গ্রামে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় তিনি বাড়ির ভেতর অর্ধশতক জায়গায় একটি গোলাকার ট্যাংক তৈরি করে ৮ হাজার ভিয়েতনাম কৈ-মাছের পোনা ছেড়েছেন।

৫ মাসে বিক্রি করেছেন ৪০ হাজার টাকার কৈ মাছ। আরও প্রায় ৮০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

রাজারহাট উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আরিফুল আলম জানান, পরিবারে প্রোটিন ও পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে মৎস চাষ একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ট্যাংকে কৈ মাছ চাষের ফলে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরি হবে এবং মাছ বিক্রি করে তারা লাভবান হতে পারবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাছচাষি ওসমান গনি বাড়ির ভিতর রান্নাঘরের পিছনে সিমেন্ট ও ইট দিয়ে ১৬ ফিট ব্যাসের একটি গোলাকার ট্যাংক তৈরি করেছেন। যার উচ্চতা ৪ ফিট। ট্যাংকে দুই থেকে আড়াই ফুট পর্যন্ত পানি রাখা হয়েছে। পানির পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহ করা হয় ট্যাংকে।

এছাড়াও পানি স্প্রে করার জন্য দু’দিকে দুটি শাওয়ার বসিয়েছেন। এতে সবমিলিয়ে তার খরচ হয়েছে ৬৮ হাজার টাকা। তিনি জানান, আরডিআরএস’র সহযোগিতায় অক্টোবরে রংপুর থেকে ৮হাজার টাকায় ৮ হাজার ভিয়েতনাম কৈ মাছের পোনা সংগ্রহ করেন।

শীতে মাছের বৃদ্ধি না হলেও শীত নেমে যাওয়ার পর দ্রুত বাড়তে থাকে পোনাগুলো। গতকাল রোববার ২শ’ কৈ উত্তোলন করেছেন। যা বাজারে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবেন।

প্রথমবার অল্প লাভ হলেও পরবর্তী বছর থেকে মাছ বিক্রি করে তিনগুণ করে লাভ করতে পারবেন বলে জানান তিনি। রাজারহাট আরডিআরএস’র টেকনিক্যাল ফিসারিজ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, রাজারহাটে ৪টি ট্যাংকে পরীক্ষামূলকভাবে ভিয়েতনাম কৈ-মাছ চাষ করা হচ্ছে।

পরিবারে অন্যান্য কাজের ফাঁকে বাড়তি আয়ে উদ্বুদ্ধ করতে এই প্রচেষ্টা। এতে তারা বেশ লাভবান হবেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS