ভিডিও

ঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভুয়া নিয়োগ বাণিজ্য মামলার আসামি

ধুনটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষকের  বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ 

প্রকাশিত: মে ০৯, ২০২৪, ০৭:৪৫ বিকাল
আপডেট: মে ০৯, ২০২৪, ০৭:৪৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ।

অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, উপজেলার নাটাবাড়ি দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, জোড়খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক ও উত্তর বড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তারেক উদ্দিন। 

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাটাবাড়ি গ্রামের নাটাবাড়ি দক্ষিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম একই গ্রামের বিপুল হোসেন নামে এক যুবককে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেন।

এ ঘটনায় গত ২৪ এপ্রিল শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সাইফুল ইসলাম ও একই মামলায় জোড়খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিল থানায় মামলা হয়। ওই দিনই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরন করে। তবে ৫মে তারা জামিনে মুক্ত হন।

এছাড়া উপজেলার হটিয়ারপাড়া গ্রামের ও উত্তর বড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তারেক উদ্দিন  পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত  ১৯ এপ্রিল একই গ্রামের স্কুলশিক্ষক আসাদুল হকের বাড়ি ও খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তারেক উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ২৩ এপ্রিল ধুনট থানায় মামলা হয়। মামলার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। 

এ বিষয়ে উপজেলার জোড়খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ভুয়া নিয়োগ বাণিজ্যর সাথে আমি বা আমার সহকর্মী জড়িত না। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার কারণে শিক্ষা অফিস থেকে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে এ বিষয়গুলো আইনীভাবে মোকাবিল করা হবে।  

ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে এবং কারাভোগের কারণে তারা কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন। ফলে চাকরি বিধিমোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে ৫মে বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS