ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল জনবল সংকট প্রকট। সেখানে সৃষ্ট ১১টি পদের মধ্যে সাতটিই শূন্য হয়ে আছে। এতে উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসক সংকটে বিনাচিকিৎসায় তিন মাসে খামারিদের ২ শতাধিক গরু মারা গেছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা।
জানা যায়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ১১টি পদের ২ জন বিসিএস কর্মকর্তা (উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন), ৫ জন উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ডিপ্লোমা), ১ জন কৃত্রিম প্রজনন কর্মকর্তা, ১ জন অফিস সহকারী, ১ জন ড্রেসার ও ১ জন অফিস সহায়ক। তবে এখানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জনসহ ৭টি পদই শূন্য হয়ে আছে।
স্থানীয় গবাদিপশু পালনকারী ও খামারিরা জানান, ভেটেরিনারি চিকিৎসক ছাড়া গবাদিপশুর চিকিৎসা অন্য কারও করার কথা না থাকলেও অসুস্থ গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন গবাদিপশুর চিকিৎসা করছেন ওই হাসপাতালের ভেটেরিনারি ড্রেসার।
এ অবস্থায় ইতোমধ্যে এ উপজেলায় বিনাচিকিৎসায় তিন মাসে খামারিদের ২ শতাধিক গরু মারা গেছে। তারা জানান, গরু কোনও রোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ফোন করলেও কোন চিকিৎসক আসেন না। হাসপাতালে গেলেও চিকিৎসকের দেখা মিলে না। তখন অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বেসরকারি চিকিৎসক এনে গবাদিপশুর চিকিৎসা করাতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালে এলাকার বেশ কয়েকজন তাদের অসুস্থ গরু ও ছাগল চিকিৎসা করাতে নিয়ে এসেছেন। বিভিন্ন গবাদিপশুর দেহে ভ্যাকসিন দিচ্ছেন ভেটেরিনারি ড্রেসার মোস্তফা। প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় তিনি নিয়মিত চিকিৎসা দিচ্ছেন।
ড্রেসার মোস্তফা বলেন, ‘এ কথা সত্য যে ভেটেরিনারি চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ গবাদিপশুর চিকিৎসা দিতে পারেন না। এই হাসপাতালে ভেটেরিনারি সার্জন পদ শূন্য হয়ে আছে। তাই হাসপাতালে আসা বিভিন্ন গবাদিপশুর চিকিৎসা আমি দিচ্ছি।’
বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আনিছুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে জনবল সংকট আছে। ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শূন্য পদগুলো পূরণে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।