স্টাফ রিপোর্টারঃ বরাবরের মত এবারও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ও মেধা উভয় ক্ষেত্রেই এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে এই বোর্ডে পাশের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তি দুটোতেই শীর্ষে মেয়েরা।
এ বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে ২ লাখ ৮৫৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৮জন। এ বছর ছাত্রী পাশের হার ৯১ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং ছাত্র পাশের হার ৮৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৩ সালে ছাত্রী পাশের হার ছিল ৯০ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং ছাত্র পাশের হার ৮৫ দশমিক ৮৫শতাংশ। ২০২২ সালে এই বোর্ডে ছাত্রী পাশের হার ছিল ৮৬ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং ছাত্র পাশের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। ২০২১ সালে ছাত্রী পাশের হার ছিল ৯৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং ছাত্র পাশের হার ছিল ৯৪ দশমিক ০৪ শতাংশ। ২০২০ সালে ছাত্রী পাশের হার ছিল ৯১ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং ছাত্র পাশের হার ছিল ৮৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ২০১৯ সালে ছাত্রী পাশের ৯২ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং ছাত্র পাশের হার ছিল ৯০ দশমিক ৪৪শতাংশ। ২০১৮ সালে এই বোর্ডে ছাত্রীরা পাশ করেছিল ৮৭ দশমিক ০৮ ভাগ, ছাত্র ৮৫ দশমিক ১৫ ভাগ।
অপরদিকে এ বছর রাজশাহী বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ২৮ হাজার ৭৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ১৫ হাজার ৪৯৫জন এবং ছাত্র ১২ হাজার ৫৭৯জন। ২০২৩ সালে এই বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ২৬ হাজার ৮৭৭জন শিক্ষাথীর মধ্যে ছাত্রী ১৪ হাজার ৭১৩জন এবং ছাত্র ১২ হাজার ১৬৪জন। ২০২২ সালে ৪২ হাজার ৫১৭ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ২৩ হাজার ৩৭৫ এবং ছাত্র ১৯ হাজার ১৪২ জন। ২০২১ সালে ২৭ হাজার ৭০৯জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ১৪ হাজার ৭৩৯জন এবং ছাত্র ছিল ১২ হাজার ৯৭০জন। ২০২০ সালে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ছিল ১৩ হাজার ৬২১জন এবং ছাত্র ১২ হাজার ৫৪৬জন, ২০১৯ সালে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ছিল ১১ হাজার ৬৮৬জন এবং ছাত্র ১১ হাজার ১০৯জন। ২০১৮ সালে ১৯ হাজার ৪৯৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ হাজার ৪৮০ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছিল, ছাত্রদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১০ হাজার ১৮।
মেয়েরা এগিয়ে থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বলেন, মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে একটু বেশিই এগিয়ে থাকে। তাদের পড়াশোনায় একাগ্রতাও তুলনামূলক বেশি থাকে। অন্যদিকে ছেলেরা বাইরে খেলাধুলা বা আড্ডায় বেশি সময় নষ্ট করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেলেরা অনেক সময় নষ্ট করে। এটিই তাদের পাশের হার ও জিপিএ-৫ পিছিয়ে থাকার কারণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।