সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে নিম্নমানের ইট ও নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে চলছে সড়ক নির্মাণ কাজ। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ চললে এলাকাবাসীর বাধা উপেক্ষা করে জোরপূর্বক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারের লোকজন।
জানা গেছে, উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের আনন্দ বাজার থেকে শাহজালাল বাজার হয়ে জামথল পাকা সড়ক পর্যন্ত দুই কিলোমিটার ২শ’ মিটার সড়কটির পাকাকরণ কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তাটির নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের ইট এবং খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির নির্মাণ কাজে পোড়ামাটির মতো নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। সেই খোয়াগুলো ঘোড়ার গাড়ির চাকাতেই পিষে যাচ্ছে। এছাড়া বেশ কয়েক স্থানে সড়কে প্যালাসাইটিং নির্মাণ করা হয়েছে নিম্নমানের ইট দিয়ে।
নিম্নমানের ইট ব্যবহার করায় এলাকাবাসী ঠিকাদারের লোকজনের সাথে প্রায়ই বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে বারবার প্রশাসনকে জানালেও এখনো কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
ঠিকাদার জোরপূর্বক সড়কের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে সড়কটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে উপজেলার কাজলা, কর্ণিবাড়ী ও বোহাইল ইউনিয়নের চরবাসীর মধ্যে পাকা সড়কে যোগাযোগ তৈরি হবে। কাজলা ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এএসএম রফিকুল ইসলাম বলেন, নিম্নমানের ইট খোয়া যেগুলো ফেলা হয়েছে সেগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
ঠিকাদার আব্দুল গফুর বলেন, সড়কে যেসব নিম্নমানের খোয়া ফেলা হয়েছে সেগুলো সরিয়ে নিতে ম্যানেজারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভালো খোয়া দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী তুহিন সরকার বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে তিনি নির্দেশনা অমান্য করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, এ বিষয়ে জানা নেই। এ ধরণের প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, উপজেলা নির্বাচনের আগে মুঠোফোনে গ্রামবাসীর অভিযোগ আমি পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।