ভিডিও

মোকামতলা হাই স্কুলের জায়গা দখল করে বাড়ি-ঘর ও শোরুম নির্মাণ

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৪, ১১:৪০ রাত
আপডেট: মে ১৩, ২০২৪, ১১:৪০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

মোকামতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের কোটি টাকা মূল্যের জায়গা জমি অবৈধভাবে জোর পূর্বক দখল করা হয়েছে। দখল নিয়ে জমিতে বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। স্কুলটির নিজস্ব পুকুর খনন করে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফলে স্কুলের ২ ভবন হুমকিতে পড়েছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন করেছে। আবেদন উল্লেখ করা হয়, স্কুলের নিজস্ব ২০ শতক জায়গা স্থানীয় কিছু ব্যক্তি দখল করে নিয়েছে এবং সেখানে ৮থেকে ৯টি বাড়ি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। পৃথক স্থান মহাসড়ক সংলগ্ন স্কুলের নিজস্ব ৫শতক জায়গা জোর করে অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে স্কুটির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক।

তিনি ওই জায়গাতে পাকা ঘর নির্মাণ করে মোটরসাইকেলে শো-রুমের ব্যবসা করছেন। স্কুলের পুকুর খনন করে মাটি নিয়ে যাচ্ছেন সভাপতি নিজে। পুকুরটি গভীর করে  খননের ফলে পুকুর সংলগ্ন স্কুলের ২টি ভবন হুমকিতে পড়েছে। প্রধান শিক্ষক নিষেধ করার পরও খনন কাজ বন্ধ হয়নি। দখলে নেওয়ার জমির মুল্য স্থানীয় বাজার হিসেবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হবে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবিব সবুজ জানান, তিনিসহ স্থানীয় সচেতন অনেক ব্যক্তি জানেন কোটি টাকা মূল্যের স্কুলের জায়গা অবৈধ দখলে নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তহমিনা আক্তার জানান, অভিযোগের বিষয়গুলি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেওয়া হবে। সভাপতি প্রধান শিক্ষককে গত ১১ নভেম্বর চাকরি থেকে সাময়িক দরখাস্ত করেন এবং সভাপতি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে গত ১৫ নভেম্বর তার বরখাস্ত  প্রত্যাহার করে নেয়।

এমন অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষক রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত আবেদন করেন। মারপিট করার হুমকির অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষক গত ২৮ এপ্রিল শিবগঞ্জ থানায় জিডি করেন। জিডিতে সভাপতি ও তার ছেলে ফারুক মন্ডলকে অভিযুক্ত করেন। থানার ওসি আব্দুর রউফ জানান জিডির বিষয়টি একজন অফিসারের মাধ্যমে তদন্ত করা হচ্ছে। স্কুলটির সভাপতি অসুস্থ থাকার কারণে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে সভাপতি পক্ষে তার বড় ছেলে ফারুক মন্ডল জানান, সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে স্কুল ফান্ডের মোটা অংকের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন প্রধান শিক্ষক। আর সেই কারণেই তাকে সাময়িক দরখাস্ত করা হয় এবং সেই টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার শর্তে তার দরখাস্ত প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু তিনি ওই টাকা এখনো ব্যাংকে জমা দেননি এবং তাদের শোরুমটি নিজের জায়গাতে করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS