সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার সুজানগরের অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল অর্জন করতে প্রাইভেট শিক্ষকদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৩৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওইসব বিদ্যালয়ের মধ্যে খুব কম বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে সন্তোষজনক লেখাপড়া হয়। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে তেমন লেখাপড়া হয় না। ফলে ওই সব বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ১২ মাস প্রাইভেট পড়ে থাকে।
আর এর মধ্যে যারা এসএসসি পরীক্ষার্থী তাদের ফাইনাল পরীক্ষার আগ পর্যন্ত প্রাইভেট পড়তে হয়। অন্যথায় তারা পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন করতে পারে না। অভিভাবকরা জানায়, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩/৪জন করে শিক্ষক আছেন যারা উপজেলায় ভাল প্রাইভেট শিক্ষক হিসেবে বেশ পরিচিত। তারা বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের চেয়ে প্রাইভেট পড়াতেই বেশি আগ্রহী।
এদের মধ্যে অনেক শিক্ষক আবার শিক্ষার্থীদের ভাল ফলাফলের জন্য প্রাইভেট পড়তে উৎসাহিত করেন। ফলে অভিভাবকরা নিরুপায় হয়ে তাদের সন্তানের ভাল ফলাফলের জন্য ওই সকল শিক্ষকদের কাছে দেন।
একাধিক অভিভাবক বলেন, অধিকাংশ প্রাইভেট শিক্ষক তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ের আশপাশে বাসা ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর সু-ব্যবস্থা করে রেখেছেন। তারা সরকারি নিয়ম-কানুনকে উপেক্ষা করে সকালে এবং বিকালে শ্রেণিকক্ষের ন্যায় প্রতি ব্যাচে ৩০ থেকে ৪০ জন করে শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ায়ে থাকেন। বিশেষ করে অংক এবং ইংরেজী বিষয়ের শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের চেয়ে প্রাইভেট পড়াতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বলেন, ওই সকল শিক্ষকদের প্রাইভেট বাণিজ্যের কারণে বিদ্যালয়ে যথাযথ পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। আর এতে সরকারের সময়োপযোগী তথা মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্য ভেস্তে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সোলায়মান হোসেন বলেন, প্রাইভেট এবং কোচিং বাণিজ্যের এ চিত্র দেশ ব্যাপি। সুতরাং ওই বাণিজ্য বন্ধে প্রয়োজন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।