সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌর এলাকায় হাঁটা একটি রাস্তা বন্ধ করেছিল প্রতিবেশী। অবরুদ্ধ হয়েছিল দুই পরিবার। স্কুলে যেতে পারছিল না শিক্ষার্থীরা। ২৫ ফুট মই বেয়ে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করেছেন ভুক্তভোগীরা। দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সেই রাস্তা খুলে দিলো স্থানীয় প্রশাসন।
সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার কুঠিবাড়ী গ্রামের উপজেলার মেইন সড়কের একটি সেতুর পশ্চিম পাশে মই বেয়ে চলাচল করতেন দুই পরিবার। সেখানে ২৫ ফুটের একটি কাঠের মই তৈরি করা হয়েছিল সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করতে। এখানে এ গ্রামের মৃত জামাল মন্ডলের ছেলে তোফাজ্জল মন্ডলের হাঁটার একটি রাস্তা বন্ধ করেছিল প্রতিবেশী বাতেন মোল্লার ছেলে হানিফ মিয়া এবং হানিফ মিয়ার স্ত্রী নাজিনা বেগম।
রাস্তা বন্ধ করায় তোফাজ্জল মন্ডলের পরিবারের চারজন শিক্ষার্থী গত চার দিনযাবৎ স্কুলে যেতে পারছিল না। এই সংবাদ পেয়ে সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমানের পরামর্শে সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম।
এ সময় তিনি উভয়পক্ষের লোকজনের সাথে কথা বলে সেতুর সাথে লাগানো কাঠের মইটি অপসারণ করেন এবং বন্ধ করে দেওয়া রাস্তাটি জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। এ বিষয়ে তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী হেনা বেগম বলেন, নাজিনা আমার আপন বোন। জমির সীমানা নিয়ে কথার কাটাকাটি হলে তারা আমাদের হাঁটার একমাত্র রাস্তা টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল।
প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেটি পুনরায় খুলে দিয়ে চলাচলের রাস্তা করে দেওয়ার জন্য আমরা খুবই খুশি। সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। উভয়পক্ষের সাথে কথা বলে টিনের বেড়া অপসারণ করে এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।