কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : অল্প বৃষ্টি হলেই জয়পুরহাটের কালাইয়ে বিভিন্ন পাকা সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। রোববার রাতে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে উপজেলার নুনুজ বাজার ও হাতিয়র মোড় এলাকা জনসাধারনের চলাচলের একমাত্র সড়কে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমেছে।
বৃষ্টি শেষ হলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা জমে আছে পানি। পাকা রাস্তার দুই পাশে বসতবাড়িগুলো উচুঁ স্থানে নির্মাণ হওয়ায় সামান্য বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় সড়ক। এই জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের চালক, শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা।
জানা যায়, উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের নুনুজ বাজার ও আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের হাতিয়র মোড় এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের প্রায় ১৫-২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের পৃথক দুটি পাকা সড়ক ও পয়ঃনিষ্কাশন নালার অবস্থা নাজুক।
পাকা রাস্তার দুই পাশে বসতবাড়িগুলো উচুঁ স্থানে নির্মাণ হওয়ায় সামান্য বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। পাকা সড়কে জমে থাকে একহাঁটু পানি। আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঢুকে পড়ে পানি। দীর্ঘদিন ধরে এমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, যানবাহনের চালক ও পথচারীরা।
হাতিয়র কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, কামিল মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের ৭-৮টি গ্রামের লোকজনদের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
নুনুজ ও হাতিয়র বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, এখানকার উৎপাদিত ধান ও আলু প্রতিদিন ১৪-১৫টি পণ্যবাহী ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন জেলায় নেওয়া হয়। অথচ সড়ক ও ড্রেনেজ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে রয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের ভেতরও পানি প্রবেশ করে। সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
জামুরা-বাসুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওয়ারেছ বলেন, এ রাস্তায় প্রায় হাটু পানি জমে রয়েছে। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জমানো পানিগুলো বেরও হয়না। ছোট ছোট শিশুরা এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে অনেক সময় পড়নের কাপড় ভিজে যায়। আবার বই-খাতা পানিতে পড়ে নষ্ট হয়। এ রাস্তা দ্রুত সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান তিনি। এতে এসব সড়ক দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন।
আহম্মেদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আকবর বলেন, এ সমস্যা একদিনের নয়, চাইলেই সমাধান করা যাবে না। তবে এ বিষয়ে আগামী উপজেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হবে। আগে ড্রেন তারপর রাস্তার ব্যবস্থা।
কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত বলেন, দুই পাশে উঁচু করে বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করায় সড়ক নিচু হয়েছে। যে কারণে আশপাশ থেকে বৃষ্টির পানি এখানে ঢোকে। রাস্তার উন্নয়নসহ ড্রেনেজ সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।