চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় পরপর দ্বিতীয় দিনের মত পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার বিকেলে গোহালবাড়ি ইউনিয়নের সুরানপুর গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে মো. ইসরাক নামে সাড়ে ৩ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আটরশিয়া গ্রামের ইমাম হোসেনের ছেলে। এনিয়ে পরপর ৪ দিনে জেলার সদর, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলায় ৪ শিশুসহ ৬ জনের পানিতে ডুবে মৃত্যু ঘটল। পরপর ৪ দিনে সংঘটিত এসব মৃত্যু জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মায়ের সাথে সুরানপুর গ্রামে নানা একরামুল হকের বাড়িতে বেড়াতে আসে ইসরাক। গতকাল রোববার বিকেলে সকলের অগোচরে নানা বাড়ির অদূরে পুকুরের পানিতে ডুবে সে মারা যায়।
ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার বলেন, বিকেল ৫টার দিকে পরিবারের সদস্যরা খেয়াল করেন ইসরাকের নিখোঁজের বিষয়টি। শুরু হয় তার খোঁজ। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধারের পর শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সন্ধ্যায় চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে গত শনিবার মহানন্দা নদীতে ডুবে ভোলাহাটে সোনিয়া খাতুন (১২) নামে এক কিশোরী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে রায়হান আলী শুভ (২২) নামে শাহ নেয়ামতল্লাহ কলেজের ডিগ্রি ২য় বর্ষে পড়া সাঁতার না জানা এক যুবক মারা যায়। গত শুক্রবার (১৮) গোমস্তাপুর উপজেলায় পুকুরে ডুবে একসাথে মারা যায় ফারহানা (৪) ও ফাহিম হোসেন সরফরাজ (৩) নামে আপন চাচাতো দু’ভাইবোন।
গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলায় মহানন্দায় ডুবে মারা যায় আবদুল্লাহ আল মুকিম (১০) নামে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্র। প্রতিটি ঘটনায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে ও সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক অপমৃত্যু মামলা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।