অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা
স্টাফ রিপোর্টার : চাচাকে হত্যার পর দীর্ঘ ২৪ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলোনা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ভাতিজার আব্দুর রহিমের। অবশেষে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়ার একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল।
র্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রোববার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোঃ আব্দুর রহিম (৫৫) ধুনট উপজেলার প্রতাব খাদুলি এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে।
১৯৯৯ সালে জমি-জমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে আসামি আব্দুর রহিম তার আপন চাচাকে নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে হত্যা মামলা বিচারের রায়ে আদালত তার অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন।
পলাতক থাকাকালে রহিম তার নিজ পরিচয় গোপন করে ভুয়া এনআইডি তৈরি করে স্ত্রীসহ ঢাকায় বসবাস করে আসছিল। এ ভাবে সে দীর্ঘ ২৪ বছর আত্মগোপন করেছিল। পরে র্যাবের তৎপরতায় তাকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রহিমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধুনট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে আমাদের ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, আজ সোমবার (২০ মে) দুপুরের দিকে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান সাংবাকিদদের বলেন, ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বেগম বাদি হয়ে ওই দিনই ধুনট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আব্দুর রহিম ও জয়নাল আবেদীনসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম, জয়নাল আবেদীনসহ ৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত বিচার শেষে ২০০৪ সালের ২৩ মে আব্দুর রহিম ও জয়নাল আবেদীনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অপর দুই আসামিকে খালাস প্রদান করেন।
এ মামলায় আব্দুর রহিম ১৯ মাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে সপরিবারে আত্মগোপন করেন। সেখানে আব্দুর রহিম নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে নিজেকে শহিদুল ইসলাম পরিচয় দিয়ে ঠাকুরগাঁও সদরে গড়েয়া ইউনিয়নের ঢাংগীপুকুর গ্রামে বসবাস করেন।
তিনি ওই এলাকায় গড়েয়া ফাজিল মাদ্রসায় চাকুরি করতেন এবং দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার চাপাপাড়া মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই মামলায় যাবজ্জীবন সাজার আদেশপ্রাপ্ত অপর আসামি জয়নাল আবেদীন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।