আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার আদমদীঘিতে খিচুরী রান্না করে জনসমাগম ঘটিয়ে আচরনবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম খাঁন রাজু‘র (আনারস) সমর্থকের ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে রান্না করা খাবারে ময়লা দিয়ে নষ্ট করার অভিযোগও উঠেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেনের বিরুদ্ধে।
গতকাল রোববার রাতে আদমদীঘির কাশিমালা গ্রাম ও শিয়ালশন গ্রামে এ জরিমানা আদায় হয়েছে। অন্যদিকে কেশরতা গ্রামে রান্না করা খাবার খিচুরিতে ময়লা ফেলে খাবার নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও আদমদীঘির সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হোসেনের বিরুদ্ধে।
এছাড়া তিনি ছোট জিনইর গ্রামে প্রার্থীর নির্বাচনী বৈঠকে কাউকে না পেয়ে ব্যবসায়ী জামিল ও রাসু নামের দুই ব্যক্তির মোাটরসাইকেলের টায়ার কেটে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানাযায়, দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গত রোববার রাতে আদমদীঘির সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেন বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্বাচনী আচরবিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা দেখতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম নিয়ে অভিযানে যান। আদমদীঘি সদরের কাশিমালা গ্রামে কিছু লোক খাবার জন্য খিচুরি রান্না করে।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই খিচুরী রান্না কোন প্রার্থীর পক্ষে দাবি করে তা নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এনে সাবেক ইউপি সদস্য বাবলু প্রামানিকের ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও একই অপরাধে শিয়ালশন গ্রামে গোলাম রব্বানীর ২০ হাজার টাকাসহ মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়া কেশরতা গ্রামের মকলেছুর রহমান ও ধলা মিয়া জানান, তারা শতাধিক নারী পুরুষ চাঁদা তুলে খিচুরি রান্না করে পিকনিকের আয়োজন করে। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে রান্না করা খিচুিরতে ময়লা ফেলে খাবার নষ্ট করেন।
অপরদিকে ছোট জিনইর গ্রামের ব্যবসায়ী জামিল হোসেন ও রাসু জানায়, তারা রাতে আদমদীঘি বাজারে দোকানপাট বন্ধ করে গ্রামে সিরাজুল ইসলাম খাঁন রাজুর নির্বাচনী বৈঠকে যান। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউকে না পেয়ে তাদের দুইজনের মোটরসাইকেলের সামনের চাকার টায়ার কেটে ফেলেন। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফিরোজ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোন বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ জানান, তিনি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। খাবার নষ্ট করার বিষয়ে তিনি নির্বাচনের পর কথা বলবেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।