রংপুর জেলা প্রতিনিধি : রংপুর সিটি বাজারে ঢুকতেই ফল কিনতে হাঁকডাক শোনা যায় বিক্রেতাদের। বাজারে আম, জাম, লিচু, জামরুল, গোলাপজাম, কাঁঠালসহ রকমারি ফলের পসরা জানান দিচ্ছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ চলে এসেছে ফলের বাজারে। ক্রেতারা বলছেন বাজারে ওঠা অনেক ফলই অপরিপক্ক হলেও দামও আকাশচুম্বী। তাই কেনার সাধ্য নেই অনেকের।
সিটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আম-লিচুসহ প্রচুর মৌসুমি ফলের পসরা বাজারে। শহরের অলিগলিতেও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন সাতক্ষীরা ও রাজশাহী থেকে আনা গোবিন্দভোগ, হিমসাগর ও ক্ষীরশাপাতিসহ নানা জাতের আম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। আম ক্রেতা আকতারুল জামান বলেন, এসব আম পানসে, মিষ্টি কম। অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম উপায়ে আম পাকিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন।
ফল ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম বলেন, রাজশাহী, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন এলাকায় আম পাড়া শুরু হয়েছে। তারা সেখান থেকে আমদানি করে বাজারে বিক্রি করছেন। যদিও কড়া মিষ্টি আম বাজারে আসতে আরও ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে। তখন রংপুরের হাঁড়িভাঙা, আম্রপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়াসহ মিষ্টি আম পাওয়া যাবে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট আকারের কাঁঠাল প্রতিটি ২০০ থেকে ২৫০, প্রতি ১০০ লিচু ৪০০ থেকে ৪৫০, কালোজাম প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনেকে লাভের আশায় আগেভাগে অপরিপক্ব লিচু বাজারে আনছেন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, জাত অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ফলের পরিপক্ব হওয়ার নির্দিষ্ট সময় থাকে। তা না মেনে ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে আম, কাঁঠাল, লিচু বিক্রি করছেন। অন্য অঞ্চলে কিছু আম পাড়া শুরু হয়েছে।
রংপুর অঞ্চলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে বাজারে আসবে বারি-২ ও বারি-৩ জাতের লিচু। এরইমধ্যে আসবে বোম্বাই, চায়না-৩, মোজাফফরপুরী, বেদানাসহ অন্য জাতের লিচুও। জুন মাস পর্যন্ত লিচু বাজারে থাকবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।