নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বাঁশের ঝুড়িতে সবুজ পাতার বিছানা। ঝুড়িতে থাকা লিচু নজর কাড়ছে সবার। গরমে রসালো এই ফলের কদর বেড়েছে। নন্দীগ্রামে মধুমাস জৈষ্ঠ্যের আগেই বাজারে আসে লিচু। বর্তমানে উপজেলার তিনটি বাসস্ট্যান্ড ও হাট-বাজারে সুস্বাদু লিচু পুরোদমে কেনাবেচা চলছে।
প্রতিদিন একজন ব্যবসায়ীর অন্তত ২০ হাজার পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে। ১শ’ পিস লিচু ৩০০ টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। গতবছর বিক্রি হয়েছিল ২৬০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা। গতবারের চেয়ে এবার দাম কিছুটা বেশি। লিচুর দাম যেমনই হোক, মধুমাসে নতুন রসালো ফলের স্বাদ নিতে সব শ্রেণিপেশার মানুষের বেশ আগ্রহ দেখা গেছে।
গতকাল রোববার নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের ফলপট্রি ও রিকশা স্ট্যান্ডের ফুটপাতে লিচু কিনতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। উপজেলার রণবাঘা, কুন্দারহাট, হাটকড়ই, সিমলা বাজার, পন্ডিতপুকুর ও ত্রিমহনী বাজারসহ বিভিন্ন হাটে লিচুর ঝুড়ি নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে রসালো এই ফল পুরোদমে আসতে শুরু করেছে। ক্রেতারা বলেন, দাম বিষয় না। লিচুর মান ভালো। দাম একটু বেশি হলেও স্বাদ ভালো।
নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে ফলপট্রিতে চারটি ঝুড়িতে লিচু নিয়ে হাঁকডাক দিচ্ছিলেন বিক্রেতা তোতা মিয়া। তোতা জানান, বোম্বাই ১শ’ পিস ৩০০টাকা ও মাদ্রাজি আঁটি লিচু ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। পাবনার ঈশ^রদী ও দিনাজপুরের বাগান থেকে লিচু কিনে এনেছেন।
তিনি বৈশাখ মাসের শেষদিকে বাজারে নতুন অপরিপক্ক লিচু আনেন। সে সময় প্রতিদিন অন্তত ৮ হাজার পিস লিচু বিক্রি হয়েছে। জৈষ্ঠ্যের ৭দিনের মাথায় বাজারে পরিপক্ক লিচু আসার পর থেকেই ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। প্রতিদিন ২০ হাজার পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ঈশ^রদীর বোম্বাই লিচুর পরিমাণই এখন বেশি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।