রংপুর প্রতিনিধি : আসন্ন ঈদুল আজহায় রংপুর জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ গবাদি পশু। জুন মাসের প্রথম দিন থেকে জেলার প্রতিটি হাটে আনুষ্ঠানিকভাবে পশু কেনাবেচা শুরু হবে বলে জানিয়েছে রংপুর প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মকর্তারা।
তবে খামারীরা আশংকা করছে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করলে তাদেরকে পথে বসতে হবে। এজন্য তারা চোরাচালান ঠেকাতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রাখার দাবি জানিয়েছে। বিশেষ করে রংপুর বিভাগের সীমান্তবর্তী দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁ, পঞ্চগড়,লালমনিহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার সতীমান্তগুলোকে কঠোর নজরদারীর মধ্যে নিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন।
রংপুর প্রাণিসম্পদ দফতর সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির জন্য রংপুরে ২৫ হাজারের বেশি খামারি প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার পশু লালন পালন করেছেন। জেলার চাহিদা মেটানোর পরও প্রায় এক লাখ ৩৯ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।
খামারিরা জানান, বাজারে গো-খাদ্যের অতিরিক্ত দামের পরও ভালো দামের আশায় কোরবানির পশু লালন-পালন করেছেন। হাটে ভালো দামে গরু বিক্রি করে হাতে বাড়তি টাকা এলে নিজেকে সফল মনে হবে। এ ছাড়া যদি ভারতীয় গরু সীমান্ত পেরিয়ে দেশে প্রবেশ না করে না তাহলে যে বাজার দর আছে তাতে সব খামারি লাভবান হবেন।
রংপুর ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফুর রহমান মিলন জানান, খামারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে না চাইলে ভারতীয় গরু আনা বন্ধ করতে হবে। এদেশের খামারীরা এখন পশুপালন করতে সক্ষম। জেলায় অনেক আধুনিক খামার রয়েছে। এই খামারগুলোতে উন্নত জাতের গরু লালন পালন করছে খামারীরা। অনেক খামার মালিক দেশের বাহিরে গিয়ে প্রশিক্ষণও নিয়ে এসেছে।
পশুরহাট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানায় প্রাণিসম্পদ বিভাগ। রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জোবাইদুল কবীর জানান, খামারিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
উন্নয়নের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে তারা যেন গরু উৎপাদন করতে পারেন। এবার কোরবানির ঈদে রংপুর জেলায় এক লাখ ৫১ হাজার ৪৫৭টি গরু ও মহিষ এবং ২ লাখ ৮ হাজার ছাগল ও ভেড়া লালন করা হয়েছে বলে জানান রংপুর প্রাণিসম্পদের কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।