সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : সারিয়াকান্দিতে রিমালের প্রভাবে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছিল। ৪৫ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হওয়ায় এলাকাবাসীর ভোগান্তি কমেছে। টানা কয়েক ঘণ্টার দমকা বাতাসে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
সারা দেশের ন্যায় সারিয়াকান্দিতেও ঘূর্ণিঝড় বিমানের প্রভাবে গত রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত টানা দমকা হাওয়া এবং সেইসাথে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে গতকাল সোমবার সারাদিন মানুষজন এবং অন্যন্য প্রাণিরা ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারেনি।
শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে এলাকাবাসীর কেউ মাথায় ছাতা বা রেইনকোট পড়ে বেরিয়ে পড়েছেন জরুরী কাজে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের জন্য এ উপজেলায় গত রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। এসেছে মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটার দিকে। টানা ৪৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছিল।
উপজেলার বেশিরভাগ মোবাইল ফোনে চার্জ না থাকায় এলাকাবাসী মোবাইল ফোনে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি। তাছাড়া বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা বাড়িতে পানি সংকট বিরাজমান ছিল, ফ্রিজের জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে, বরফ তৈরি করতে না পারায় জেলেদের মাছ নষ্ট হয়েছে, বিদ্যুৎ নির্ভর যেসব কলকারখানা বা দোকান তা বন্ধ ছিল।
ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর প্রভাবে উপজেলার বড় বড় গাছপালার ডাল বা কোথাও গাছপালা ভেঙ্গে পড়ার খবরও পাওয়া গেছে। রিমালের প্রভাবে গতকাল সোমবার সারাদিন ও রাতে যমুনা নদীতে প্রচন্ড ঢেউয়ের কারণে উপজেলার নৌঘাটগুলো থেকে কোথাও দূরপাল্লার নৌযান ছেড়ে যায়নি।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকদের সদ্য বেড়ে ওঠা পাট গাছগুলো দমকা বাতাসে নুয়ে পড়েছে। এতে পাটের ফলন কম হবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।