দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া সরকারি শাহ্ এয়তেবারিয়া কলেজে প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নিমার্ণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বদলে গেছে শিক্ষার পরিবেশ। মনোরম পরিবেশে শুরু হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান।
উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দক্ষিণে বন্দর নগর তালোড়ার রেলস্টেশন সংলগ্ন সরকারি শাহ্ এয়তেবারিয়া কলেজ। তালোড়াা গুরুত্ব বিবেচনা করে উচ্চ শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে এলাকার শিক্ষানুরাগী ও বিদ্যুৎসাহী ব্যক্তিরা ১৯৭০ সালে এ কলেজ প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে তালোড়ার কৃতি সন্তান সাবেক পাট প্রতিমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা এবিএম শাহজাহানের প্রচেষ্টায় কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়।
কলেজের প্রশাসনিক কাঠামোর পাশাপাশি নতুন ইমারত তৈরীর মাধ্যমে কলেজটির ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। সম্প্রতি ৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ তলা বিশিষ্ট ভবনটি কলেজটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। ৪টি ভবনে ৩৭টি শ্রেণিকক্ষে সমাদৃত কলেজটিতে ৩টি আধুনিক গবেষণাগার, বঙ্গবন্ধু কর্ণার ও সু-সজ্জিত লাইব্রেরি ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার পথকে প্রশস্ত করেছে।
বর্তমানে কলেজটিতে অধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক, ১৫টি পদের মধ্যে ১৫ জনই কর্মরত আছেন। এছাড়াও কর্মচারীর ৯টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৮জন। নানা প্রতিকুলতা কেটে কলেজটির ব্যাপক উন্নয়নমুলক কাজে বদলে গেছে শিক্ষার পরিবেশ সেই সাথে নব-দিগন্তের যাত্রা শুরু করেছে।
কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক আহম্মেদ জানান, তিনি ২০১৯ সালের পহেলা জুন শিক্ষক ও কর্মচারী সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে কলেজে যোগদান করেন। শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আনাসহ শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে কলেজটির অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করেন।
স্বল্প সময়ে সফলতা পেয়ে যান। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধায়নে প্রায় ৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭ কক্ষ বিশিষ্ট ৬তলা ভবন নির্মাণ করেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বর ভবনটি হস্তান্তরও হয়।
এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন ছাড়াও অত্যাধুনিক সু-সজ্জিত ল্যাইব্রেরী, বঙ্গবন্ধু কর্ণার, আধুনিক গবেষণাগার, শহীদ মিনার নির্মাণ, কলেজ মসজিদের টাইসসহ অজু খানা নির্মাণের মধ্যে দিয়ে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে।
বর্তমানে এ কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫০ জন। বিগত এইচ.এস.সি পরীক্ষায় ১৬৯ ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৫ জন জিপিএ-৫ সহ ১৪৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার শতকরা ৮৬.৩৯। যা বগুড়া জেলার যে কোনো উপজেলা পর্যায়ে কলেজগুলোর মধ্যে থেকে ভালো।
কলেজটি থেকে জিপিএ-৫ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী সাব্বির হাসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগের মধ্যে দিয়ে কলেজটির সুনাম আরো বেড়ে দিয়েছে। তিনি কলেজটির শিক্ষার মান উন্নয়ন সহ শিক্ষা পরিবেশ উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।