স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার বাজারে নিয়ন্ত্রণহীন আলুর দাম আরও বেড়েছে। এছাড়াও বেড়েছে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও ডিমের দাম।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারসহ শহরের বেশিরভাগ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক দিন আগে প্রতিকেজি কার্ডিনাল আলু ৪৮-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও বর্তমানে দাম বেড়ে তা ৫০-৫৫ টাকা এবং ৫৬ টাকার পাকড়ি আলুর কেজিতে চার টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ৫০-৬০ টাকা, পটল, করলা, ঢেড়স, ঝিংগা ও চিচিংগা ৩০, কাররোল ৮০, রসুন ২৪০, আদা ২৬০-২৮০, পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৭০-৮০ এবং কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি থেকে দাম বেড়ে ১৬০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে আবারও বেড়েছে ফার্মের ডিমের দাম। গত সপ্তাহে ডিম ৪৬ টাকা হালিতে বিক্রি হলেও বর্তমানে দু’টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি হালি ডিম ৪৮ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এছাড়াও ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে ১৯০, ককরেল মুরগির কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে ৩২০ এবং দেশি মুরগি আগের দাম ৬২০ টাকা কেজিতে বেচাকেনা হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ এবং খাসির মাংস ৯শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। শহরের ফতেহ আলী বাজারে দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের রুই মাছ ৩৪০-৩৫০ টাকা কেজি এবং সাড়ে তিন থেকে চার কেজি ওজনের কাতল মাছ ৩২০-৩৫০ টাকা কেজি এবং দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ ২শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পাবদার কেজি ৩৫০-৪২০ ও টেংরা মাছ ৪৪০-৪৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। অপরদিকে এই বাজারে প্রতিকেজি চিনি ১৩৫, বোতলজাত প্রতিলিটার সয়াবিন তেল ১৬৩, পাঁচ লিটার ৭৯০, মসুরের ডাল প্রতিকেজি ১১০-১৪০, মুগ ডাল ১৮০-২০০, আটা প্রতি এক কেজির প্যাকেট ৪৮ এবং ময়দা প্রতি এক কেজির প্যাকেট ৬৫-৬৮ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়।
অপরদিকে বাজারে এসেছে মৌসুমের নতুন চাল। শুভলতা নামের নতুন চাল প্রতিকেজি ৫২, বিআর আটাশ ৫৪, পাইজাম ৫৬, মিনিকেট ৬৮, কাটারিভোগ ৭১-৭২ এবং নাজিরশাইল চাল প্রতিকেজি ৭৫ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।