নওগাঁ প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে যখন লন্ডভন্ড বিভিন্ন এলাকা, তখন সাপের বর হয়ে ধরা দিয়েছে নওগাঁর মানুষের কাছে। ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গত সোমবার ভোর থেকে বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়া বইছিল, যা গত মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
মাত্র একদিনের বৃষ্টিতে ফসলের মাঠে ফিরে এসেছে সজীবতা। ফলে একমাস নতুন করে আর ফসলে সেচ দিতে হবে না। এতে কৃষকদের একমাসে প্রায় ৪ কোটি টাকা বেঁচে যাবে। কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় মোট ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বেশ কিছুদিন থেকে নওগাঁর ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বইছিল। প্রচন্ড খরার কারণে এর প্রভাব পড়েছিল শাকসবজি ও ফসলে। এতে চাষাবাদ নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তা বাড়ছিল। শাকসবজি রক্ষায় বিকল্প হিসেবে সেচ দিতে হয়েছিল। এতে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছিল কৃষকদের। যেখানে বিঘাপ্রতি একবার সেচে খরচ গুনতে হচ্ছিল ৮শ’ টাকা। আবার উৎপাদনও কম হচ্ছিল।
তবে একদিনের বৃষ্টিতে কৃষকদের বেশ উপকার হয়েছে। এদিকে বৃষ্টির পানিতে আউশ ও আমনের বীজতলা তৈরির প্রস্তুতি নেয়া হবে বলে জানান কৃষকরা। নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলায় গ্রীষ্মকালীন প্রায় ৭ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে শাকসবজির আবাদ হয়েছে।
জেলায় মোট ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিতে কৃষকদের ব্যাপক উপকার হয়েছে। খরায় কৃষকদের যে দুশ্চিন্তা হচ্ছিল তা কিছুটা কমেছে। এতে আম ঝরে পরা কমে যাবে। আবার বৃষ্টির পানিতে আউশ ও আমনের বীজতলা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।