ভিডিও

ছাড়ের ছড়াছড়ি, তবু ক্রেতা নেই বিপনী বিতানগুলোতে

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৪, ১০:৫৯ রাত
আপডেট: জুন ১১, ২০২৪, ১২:১৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : অন্যান্য বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ ছাড় দিয়েও ক্রেতা মিলছে না কাপড়ের  দোকানগুলোতে। ঈদের আর মাত্র পাঁচদিন বাকি। বগুড়ার মার্কেট এবং বিপনীবিতানগুলোতে  ক্রেতার খরা চলছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন এত ক্রেতা সংকট এর আগে তারা মোকাবেলা করেননি।

বগুড়া শহরের অভিজাত এলাকা বলে খ্যাত জলেশ্বরীতলাতে অবস্থিত বিপনীবিতানগুলোতে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। প্রতিটি শোরুমে বিক্রির ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট লিখে রাখা হয়েছে। এছাড়া কিছু শোরুমে দু’টি কিনলে একটি ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এত ছাড় দেওয়ার পরও বিক্রেতারা আশানুরূপ ক্রেতা পাচ্ছেন না।

বিপনী বিতানের মত বগুড়ার হকার্স মার্কেট, নিউ মার্কেট, রানা প্লাজা, পুলিশ প্লাজা সবখানেই সাধারণ সময়ের চেয়ে ক্রেতারা কম আসছেন। ঈদ উৎসবের দিন ঘণিয়ে এলেও আশানুরূপ ক্রেতা পাচ্ছেন না কাপড় ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানান, অনেকদিন হলো এই অবস্থা চলছে।  যে যার মত করে ছাড় দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে ছাড়ের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না।

শেষ পর্যন্ত দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতনসহ নিজেদের সংসারের খরচ তুলতে পারব কিনা তাতেও সন্দেহ রয়েছে। বগুড়ার শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার সারা, ইনজয়, এরাইভেল, জোথা, ক্লাসিক, লেন্ড, গো-আপসহ প্রায় প্রতিটি শোরুমে তাদের নিজস্ব প্রোডাক্টের ওপর সর্বোচ্চ ছাড় দিয়েছে।

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শোরুম খোলা থাকলেও ক্রেতা আসছেন না। মাঝে মাঝে যারা আসছেন তারাও বাজেটের অজুহাতে বের হয়ে চলে যাচ্ছেন। তারা জানান, কোরবানির এই ঈদে কাপড়ের দোকানে তেমন একটা ভিড় থাকে না । তবে এবারের অবস্থা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশ কম।

একই অবস্থা বগুড়ার নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদেরও। তারা বলেন, এবারের ঈদ মার্কেটে ক্রেতাদের চেয়ে দর্শনার্থী বেশি এবং রোজার ঈদের মাঝখানে ক্রেতার সংখ্যা আরও কম ছিল। আমরা লাভের জন্য নয়, খরচ তোলার জন্য সীমিত লাভেও পণ্য বিক্রি করছি। ক্রেতারা আসছেন গজ কাপড়ের দোকান থেকে গরমের কথা মাথায় রেখে হালকা কাপড় কিনছেন।

কসমেটিকস এর শোরুমেও  ক্রেতা নেই। সারাদিনে হালকা কিছু পণ্য বিক্রি হচ্ছে। বলছিলেন বগুড়া নিউ মার্কেটের পরিচিত কসমেটিকস ব্যবসায়ী রাব্বি। এদিকে নিউ মার্কেটে এবং শোরুমে আসা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান,  কোরবানি ঈদে পছন্দের দামী কাপড় কিনতেই হবে এমন ব্যাপার না। তাই সময় করে ঘুরতে এবং প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী কিনতে এসেছেন।

কাপড় কেনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারা বলেন, বাজারে প্রতিটি পণ্যের আকাশ ছোঁয়া দাম। গত দুইমাস আগেই অনেক খরচ করে  রোজার ঈদ পার করেছেন। সেই ধাক্কা যেতে না যেতেই কোরবানির ঈদ। এই ঈদে বেতনের একটা বড় অংশ কোরবানির পশু কিনতে চলে যায়।

কাজেই এই ঈদে কাপড়ের চেয়ে তাদের কেনার তালিকায় আছে কসমেটিকস, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন হাঁড়ি-পাতিল, প্রেসারকুকার, বাসনপত্র, বাচ্চাদের খেলনাছাড়াও গৃহস্থালী সামগ্রী।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS