ভিডিও

নওগাঁর সাপাহারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম আমের হাট

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৪, ০৫:১৫ বিকাল
আপডেট: জুন ১১, ২০২৪, ০৫:১৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর সাপাহার বর্তমানে আমের রাজধানী হিসেবে বেশ সুপরিচিত বরেন্দ্র এই উপজেলার নাম। এই উপজেলার উৎপাদিত সুমিষ্ট আম বাণিজ্যিকভাবে দেশের গুন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। চলতি মৌসুমের শুরুতেই শীতের তীব্রতা এবং পরবর্তীতে প্রচন্ড তাপদাহের কবলে পড়ে আমের ফলন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে যার ফলে আমের উৎপাদন অনেকাংশে কম হয়েছে। এবার ২২ মে গুটি আম দিয়ে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের আম সংগ্রহ এছাড়া ২৮ মে গোপালভোগ, ২ জুন খিরসাপাত/হিমসাগর, ৭ জুন নাকফজলি এবং ১০ জুন থেকে শুরু হয়েছে ল্যাংড়া/হাঁড়িভাঙা।

ইতোমধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় সরগরম হয়ে বসেছে আমের হাট। উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় আমের হাট বসে নওগাঁর সাপাহারে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত আম ব্যবসায়ীগণ অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও এসেছেন আম কিনতে। নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আম সুমিষ্ট হওয়ায় দেশের সর্বত্রই এই আমের চাহিদা অনেক বেশি। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে হাটে ভ্যান, ট্রলি, পিকআপসহ বিভিন্নভাবে আসা আমের বেচা-কেনা চলে এই হাটে। সাপাহার সদরের টেকনিক্যাল কলেজ থেকে জিরো পয়েন্ট হয়ে দিবরের মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ হয় এই আমের হাট। এবার সাপাহার সদরে ২শ’টির অধিক আম আড়ৎ এ আমের বেচা-কেনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন এসব আড়ৎগুলোতে ৩ থেকে ৫ হাজার মণ আম কেনা হচ্ছে, তবে চলতি মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের পর আমের রাজা আম্রপলি (রুপালী) আম বাজারে নামলে এই বেচা-কেনা পরিমাণ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন আম ব্যবসায়ীগণ।

সাপাহার বাজার আমচাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের বলেন, এবার আমের উৎপাদন অনেকাংশে কম হয়েছে তবে শুরু থেকে আমের ভালো দাম পাচ্ছেন চাষীরা। আমের ওজনের বৈষম্যের বিষয়ে তিনি বলেন আমাদের নিজেদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং প্রশাসনিকভাবে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বানও জানান তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী এবার গুটি আম ২২ মে সংগ্রহ শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে গোপালভোগ ২৮মে, খিরসাপাত/হিমসাগর ২ জুন, নাগফজলি ৭ জুন, ল্যাংড়া/হাঁড়িভাঙা ১০ জুন, নাকফজলি ২০জুন, আম্রপালি ২২জুন এবং আশ্বিনা/বারি-৪/গৌড়মতি/কাটিমন ১০ জুলাই সংগ্রহ করা হবে।

সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার সাপাহার সদর আম হাট ঘুরে দেখা গেছে, ল্যাংড়া আম ২২শ’ থেকে ২৮শ’ টাকা, নাকফজলি ২৩শ’ থেকে ২ হাজার ৬৫০, খিরসাপাত ২৫শ’ ৩ হাজার ৫শ’ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী উপজেলায় এ বছর প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিকটন নির্ধারণ করা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS