গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে জোরপূর্বক সম্পত্তি জবর-দখল করে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করতে গেলে মারপিট-হুমকির শিকার হচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনায় উপজেলার বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মকছেদুর রহমান বাদি হয়ে ৯ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী মকছেদুর রহমান জানান, তিনি স্থানীয় সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহায়ক। অবসরের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার সংসারে স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। উত্তরনারীবাড়ি মৌজায় তার নামীয় দলিলকৃত ২১৩ খতিয়ানে ৪১৭ দাগে .২৪৫০ শতাংশ লিচু বাগান রয়েছে। প্রায় ১৯টি লিচু গাছ রয়েছে বাগানে।
তার এই জমি দখল করার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ কয়েকজন প্রতিবেশী চেষ্টা করে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২ জুন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পূর্ব প্রস্তুতি মোতাবেক তার বাগানে গিয়ে পাঁচটি লিচু গাছ কেটে ফেলেন এবং বাগান দখল করেন। পরবর্তীতে ৯৯৯ এ কল দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
এরপর তিনি আইনগত সহযোগিতা পাওয়ার জন্য থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বর্তমানে ছেলে মেয়ে নিয়ে তিনি নিজেও জীবন শঙ্কায় রয়েছেন বলেও জানান। এ দিকে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মো. আলম মোল্লা বলেন, প্রতারণা করে তার বাবার কাছ থেকে মকছেদুর রহমান জমির দলিল করে নিয়েছিলেন।
মকছেদুর রহমানের নামে দলিল বাতিল করার জন্য আদালতে একটি মামলাও করেছেন। ইতোপূর্বে মকছেদুর রহমান ও তার ছেলেরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন তাকে। তাছাড়া গাছ কাটা বা জমি জবর দখলের যে অভিযোগ তারা তুলেছে সেগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. উজ্জল হোসেন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উভয় পক্ষকেই থানায় ডাকা হয়েছে আপোষ-মিমাংসার জন্য। উপস্থিত না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।