স্ত্রীর কোলে মাথা রেখে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে স্বামী হাসেন আলী (৫৭)।স্বামীর মৃত্যু দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্ত্রী মনজুরা বেগমও (৪৫)। এরপর স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মনজুরা বেগমকেও মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এদিকে, স্বামী-স্ত্রীর জানাজা ও কবর খোড়ার সময় নড়ে উঠেন মনজুরা বেগম। ইসিজি মেশিনে পরীক্ষা করে দেখা যায় মনজুরা বেগম জীবিত রয়েছেন। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার দেড়ঘণ্টা পর ফের ইসিজি করে দেখা যায় মনজুরা বেগম মারা গেছেন।
আজ শনিবার এমন ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ গ্রামে।
পাটগ্রামের বাউরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাবিউল হক মিরন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, রসুলগঞ্জ গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে মুদির দোকানদার হাসেন আলী আজ শনিবার ভোরে বাড়িতে হঠাৎ করে স্ত্রীর কোলে মাথা রেখে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। স্বামীর মৃত্যু দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্ত্রী মনজুরা বেগমও। তখন স্থানীয়রা মনজুরাকে স্থানীয় বাউরা বাজারের পল্লী চিকিৎসক মাহির লাবীব মুনেমের কাছে নিয়ে যান। তখন ওই চিকিৎসক কোনো পরীক্ষা ছাড়াই তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাড়ি নিয়ে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর গোসল ও কবর খোড়ার প্রস্তুতি চলছিল।
এমন সময় মনজুরা বেগমের দেহ নড়ে উঠে বলে দাবি করে প্রতিবেশীরা। এরপর বাউরা বাজারের এক ল্যাব থেকে ইসিজি মেশিন নিয়ে গিয়ে মনজুরার ইসিজি করা হয়। ইসিজি করে টেকনোলজিস্টরা দাবি করেন, মনজুরা বেগম জীবিত আছেন। দ্রুত তাকে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দেড় ঘণ্টা পর ফের ইসিজি করে দেখা যায় মারা গেছেন মনজুরা বেগম।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।