ভিডিও

ভাঙন আতঙ্কে নদীতীরের মানুষেরা

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বিপৎসীমার এক মিটার নিচে

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৪, ০৭:৪২ বিকাল
আপডেট: জুন ২১, ২০২৪, ১০:৪২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি আজ শুক্রবার (২১ জুন) বেলা ৩টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ১ মিটার ২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন এলাকাবাসী। উপজেলার চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে । অপরিপক্ক পাট কাটছেন চাষীরা।

উপজেলার যমুনা নদীর পানি গত কয়েকদিন ধরেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ শুক্রবার (২১ জুন) বেলা ৩টায় সারিয়াকান্দি মথুরাপাড়া পয়েন্টে এ নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১৫.২৩ মিটার। উপজেলায় এ নদীর পানির বিপৎসীমা ১৬.২৫ মিটার। তাই পানি এখনো শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত বিপৎসীমার ১.২ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার চালুয়াবাড়ী, কাজলা, কর্ণিবাড়ী এবং বোহাইল ইউনিয়নের নীচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের পারতিত পরল গ্রামের ডাকুরিয়া নদীর তলদেশে সদ্য বেড়ে ওঠা অপরিপক্ক পাট কাটছেন চাষীরা। আর কিছু পানি বাড়লেই খাল ছুটে পাটগাছ ডুবে যাবে বলে এ আতঙ্কে পাটগাছ কাটছেন কৃষকরা।

এদিকে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি হওয়ায় উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলতাইড় গ্রামের এলাকাবাসী ভাঙন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন। তাছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ইউনিয়নের মানিকদাইড় গ্রামের উত্তর পাশে জামালপুর মাদারগঞ্জ সীমানায় যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এদিকে উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের চর ঘাগুয়া গ্রামের যেখানে বাম তীর সংরক্ষণের কাজ হচ্ছে তার উত্তর পাশের বেশ কিছু এলাকাজুড়ে ধ্বসের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা গ্রামেও যমুনা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডর নদী ভাঙন রোধে কাজ চলমান রয়েছে। এদিকে বোহাইল ইউনিয়নের শংকরপুর চরে যমুনা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে কয়েকদিনের যমুনা নদীর ভাঙনে বেশ কিছু কৃষিজমি ভেঙে গেছে। এছাড়া যমুনা নদীর ডানতীরে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এ এলাকার মানুষরা প্রতিনিয়ত ভাঙন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন।

অপরিপক্ক পাটগাছ কর্তনরত সদর ইউনিয়নের একজন পাটচাষী জানান, সদর ইউনিয়নের ডাকুরিয়া নদীর খালে তারা স্বেচ্ছায় বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রেখেছেন। তবে যে হারে পানি বাড়ছে তাতে যেকোনও সময় বাঁধ ভেঙে ডাকুরিয়ায় পানি ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তারা তাদের সদ্য বেড়ে ওঠা পাটগাছ কেটে নিচ্ছেন।
কুতুবপুর ইউনিয়নের মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের বাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের বাইরে হওয়ায় প্রতিবছর বন্যার সময় বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যায়। গত কয়েকদিন ধরেই পানি বাড়তে থাকায় আমরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিঃ) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আগামি ২ দিন পর্যন্ত পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর উজানে যদি আরও ভারি বৃষ্টিপাত হয় তাহলে পানিবৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকবে। উপজেলার যেখানেই নদী ভাঙনের খবর পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে। তাই নদী ভাঙনের জন্য আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS