ভিডিও

 গাইবান্ধায় নদীর তীরবর্তী মানুষ হারাচ্ছে ফসলি জমি-বাস্তুভিটা

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৪, ০৪:৪১ দুপুর
আপডেট: জুন ২৭, ২০২৪, ০৪:৪১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: কয়েকদিন আগে ভারি বর্ষণে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ঘাঘট নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। সম্প্রতি এই পানি কমতে শুরু করছে। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এর ফলে নদীর তীরবর্তী মানুষ হারাচ্ছে ফসলি জমি ও বাস্তুভিটা। বাঁধসহ হুমকিতে পড়ছে কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি। এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের কাটছে নির্ঘুম রাত। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে যায়, উপজেলার জামালপুর ও দামোদরপুরসহ বিভিন্ন  ইউনিয়নে নদী ভাঙনের চিত্র।  এসময়  ক্ষতিগ্রস্ত  ও  ঝুঁকিতে  থাকা  মানুষদের মুখে শোনা গেল ভাঙনরোধের নানা দাবি-দাওয়ার কথা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলাধীন প্রায় ২৬ কিলোমিটার এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে ঘাঘট নদী। বনগ্রামের টুনিরচর থেকে শুরু হয়ে নলডাঙ্গার শ্রীরামপুর গিয়ে মিঠাপুকুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীমানায় ঠেকেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতে কয়েক যুগেও ঘাঘট নদীশাসন না করায় জামালপুরের চকদাড়িয়া-পাতিল্যাকুড়া (সাতঘটিপাড়া), কল্যাণপুর, হামিন্দপুর (ঘোষপাড়া), দামোদরপুরের সীট জামুডাঙ্গা (মুন্সিপাড়া), পাটনীপাড়াসহ আরো বেশ কিছু স্থানে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এসব এলাকায় বসবাসরত পরিবারের ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে। ইতোপূর্বে এই নদীর করাল গ্রাসে অনেক পরিবার হারিয়েছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক নিম্ন আয়ের মানুষ বাস্তভিটা হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে। প্রতি বছরের বন্যা আর নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে অনেকে। কেউ কেউ মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে পথে বসেছে বলে জানা গেছে।

সীট জামুডাঙ্গা (মুন্সিপাড়া) এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে এই স্থানে প্রায় ২০ পরিবার হারিয়েছে বসতভিটা ও আবাদি জমি। এখন হুমকির মুখে রয়েছে বেশকিছু বাড়ি। অব্যাহত ভাঙনে যে কোন মুহূর্তে বিলীন হতে পারে এ পাড়াটি। এখানে ভাঙন রোধে সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সহায়-সম্বল হারিয়ে অনেকে পথে বসতে পারে। এ বিষয়ে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ (কাওছার মন্ডল) বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে বিষয়টি এলকার সংসদ সদস্যকে অবহিত করবো। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ওইসব এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙনরোধে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS