সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, সারিয়াকান্দি উপজেলার যে সব এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে সেইসব এলাকায় দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। বিশেষ করে উপজেলার ইছাদহ গ্রামের ৪০০ মিটার এবং শিমুলতাইড় গ্রামের ৬০০ মিটার এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও এবং টিও ব্যাগ ফেলে নদীভাঙনরোধে কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলার ডানতীরের প্রায় এলাকাতেই ইতিমধ্যেই স্থায়ী কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। পুরো সারিয়াকান্দির সুরক্ষায় ৮৪০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনায় রয়েছে, সেটির কাজ সম্পন্ন হলে পুরো সারিয়াকান্দির ডানতীর নদী ভাঙন থেকে সুরক্ষিত হবে। সরকার সবসময় নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের খোঁজখবর রাখছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হতে, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে, মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে সবসময় নদী তীরবর্তী মানুষের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বন্যার পানি থেকে আপনাদের শিশুদের দূরে রাখবেন, যেকোনও ধরনেরই কোনো গুজবে কান দেবেন না, বাইরে থেকে সারিয়াকান্দিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করবেন।
আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকালে উপজেলার যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা গ্রামে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুর রহমান।
ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আফসানা ইয়াসমিন, বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন সজল, পৌরমেয়র মতিউর রহমান মতি, কামালপুর ইউপির চেয়ারম্যান রাছেদুউজ্জামান রাসেল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।