বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর বদলগাছীতে পটলের উৎপাদন বেশি হলেও দাম কমে গেলে কৃষক হতাশ হয়ে যায়। গত মঙ্গলবার কোলা বাজার ঘুরে জানা যায়, সকালে বাজার মূল্য কম থাকলেও একচু পরেই বাজার মূল্য বেড়ে যায়, এতে খুশি কৃষক।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বর্তমানে উপজেলায় ব্যাপক পটল উৎপাদন হয়েছে। বাজারে পটলের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়ে। শুক্রবার কোলার হাটে সকাল থেকেই সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা মন পটল বেচাকেনা চলছিল। বেচাকেনার মাঝে ১ঘন্টার ব্যবধানে প্রতিমণ পটলের দাম ১শ থেকে দেড়শ টাকা বেড়ে যায়।
পটল কৃষকের লাভ জনক একটি ফসল। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানাযায়, বদলগাছীতে উচু জমির পরিমান বেশি। এ কারনে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, ঝিঙ্গা, মরিচ, বাঁধাকপি, ফুল কপি, ঢেঁড়শ, টমেটো, পটল, বেগুন, আলুসহ সব ধরণের সবজি চাষ হয়। আগে কৃষকের কাছে অর্থকরী ফসল ছিল পাট এখন পটল। এই এলাকার পটল দেশের গন্ডি পেরিয়ে যায় বিদেশে।
এই উপজেলায় স্থানীয় জাত লাউজান ও বোল্ডার জাতের পটল চাষ করা হয়। এর মধ্যে লাউজান জনপ্রিয় । বাজারে এর দাম ও বেশি। পটল চাষি আতিক জানায়, মৌসুমের প্রথম দিকে পটলের দাম ছিল ১৮শ/২হাজার টাকা মন।
পটল বাজারে নিয়ে গেলে বিক্রি করে আনন্দ পেতাম এখন দাম খুবই কম ৫/৬ শত টাকা মন। পটল লাভ জনক ফসল হলেও অনেক পরিশ্রম করতে হয়। খরচ ও পরিশ্রম অনুসারে দাম কমে গেলে লোকসান হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবাব ফারহান জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩৮৫ হেক্টর জমিতে পটল চাষাবাদ হয়েছে। পটলের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে। পটল চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।