গণমাধ্যমগুলোর বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য পুলিশের কাজ অনেক সহজ হয় : সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী
স্টাফ রিপোর্টার : অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম’কে গতকাল বৃহস্পতিবার দৈনিক করতোয়া এবং আমরা ক’জন শিল্পী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে পৃথকভাবে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এ উপলক্ষে সন্ধায় ‘আমরা ক’জন শিল্পীগোষ্ঠীর’ উদ্যোগে মানবিক স্পর্শকাতরতা বিধুর সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খোন্দকার কামাল হাসান। এ ছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা পুলিশের পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ ও মোতাহার হোসেন, বগুড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহজাহান রিপন, বীট মডেল স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাহাবুদ্দিন সৈকত, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমরা ক’জন শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা সংবর্ধিত ব্যক্তিত্ব পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম কে আগুনের পরশমণি এই গানটির সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে বরণ করে নেন। এরপর সভাপতি অনুষ্ঠানের সকল অতিথিকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন। শেষে সংবর্ধিত অতিথিকে উত্তরীয় ও বিদায়ী সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানে নৃত্য, আবৃত্তি ও কথামালার মাধ্যমে শিল্পী ও অতিথিদের চমৎকার পরিবেশনের মাধ্যমে ফুটে ওঠে ‘তোমাকে ভালোবাসি’ অনুষ্ঠানটি। মাহাবুব হাসান সোহাগের নৃত্য পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ‘আমরা ক’জন শিল্পী গোষ্ঠী’র শিল্পীরা দলীয় নৃত্য ও আব্দুল মোবিন জিন্নাহর আবৃত্তি পরিচালনায় পুলিশ সুপার কবি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর কাব্যগ্রন্থ থেকে বাছাইকৃত তিনটি কবিতা সংগঠনের শিল্পীরা এবং বীট মডেল স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শাহাবুদ্দিন সৈকত আবৃত্তি করেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন লায়ন আব্দুল মোবিন ও তাসনিম ত্রয়ী।
অপরদিকে ওই অনুষ্ঠান শেষে রাতে দৈনিক করতোয়ার পক্ষ থেকে করতোয়া কার্যালয়ে বিদায়ী পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। করতোয়ার পক্ষ থেকে তার হাতে ক্রেস্ট এবং উপহার তুলে দেন দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক করতোয়ার নির্বাহী সম্পাদক তাসলিমা হক রাকা, বার্তা সম্পাদক প্রদীপ ভট্টাচার্য্য শংকর, মফস্বল বার্তা সম্পাদক জয়নাল আবেদিনসহ পত্রিকাটির সাংবাদিকসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এ সময় করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে বলেন, সাংবাদিক ও পুলিশের কাজ প্রায় একই রকম। উভয়ই জনগণের সেবায় তাদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কাজ করেন। সাংবাদিকরা কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় কিছু কিছু সংবাদ পুলিশের বিপক্ষে চলে যায়।
এই কারণে হয়তো আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকেন, কখনও কখনও ক্ষুব্ধও হন। এটা আসলে পেশাদারিত্ব থেকেই হয়। কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা বিভাগকে আক্রমণ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। সঠিক খবর পরিবেশন করতে গিয়ে সেটি কারো বিপক্ষে চলে যেতে পারে, এটাই সাংবাদিকতার পেশাদারিত্ব।
পুলিশ সুপার বলেন, বগুড়ার গণমাধ্যম অনেক সমৃদ্ধ। বিশেষ করে করতোয়া। করতোয়া শুধু বগুড়ায় নয় পুরো উত্তরাঞ্চলকে লিড দেয়। বগুড়ার গণমাধ্যম কর্মীরাও খুব ভালো কাজ করেন। ঢাকার পরই বগুড়া এবং চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের অবস্থান। এই জেলায় কাজ করতে গিয়ে আমি মিডিয়ার যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছি।
বিশেষ করে বগুড়া পোস্ট অফিসে হত্যাকান্ডসহ বিভিন্ন হত্যাকান্ড, কারাগার থেকে চার ফাঁসির আসামির পলায়নের চেষ্টা অন্যতম। সেই সময় গণমাধ্যম যেভাবে কাজ করেছে তা সত্যিই প্রশংসার। করতোয়া যে সংবাদগুলো পরিবেশন করে তা পুরোপুরি যৌক্তিক।
গণমাধ্যমগুলোর বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের কারণে অনেক সময় আমাদেরও কাজ সহজ হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ যানজট নিরসনে কাজ করতে। বগুড়ার গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য আমার সবসময় শুভ কামনা থাকবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।