ভিডিও

বগুড়ার শেরপুরে পল্লীবিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক

এবার সেচ প্রকল্পের পাহারাদারকে মারপিট ও বেঁধে রেখে ট্রান্সফরমার চুরির চেষ্টা

প্রকাশিত: জুলাই ০৭, ২০২৪, ০৯:৪৭ রাত
আপডেট: জুলাই ০৭, ২০২৪, ০৯:৪৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : শেরপুর উপজেলায় বোরো মৌসুমের শেষেই পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক পড়েছে। বিগত এক সপ্তাহের মধ্যে অন্তত দশটি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা। এসব ট্রান্সফরমারই কৃষিকাজে ব্যবহৃত সেচ পাম্পের।

যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা। সর্বশেষ গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ভায়রা গ্রামে মোহাম্মদ আলীর মালিকানাধীন সেচ পাম্পের দশ কিলো ভোল্ট অ্যাম্পিয়ার (কেভিএ) ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়া একই রাতে পাশের তালতা এলাকায় বহুমুখি সেচ প্রকল্পের পাহারাদার হাসমত আলীকে মারপিট ও বেঁধে রেখে পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরির চেষ্টা চালায় ১২-১৫জনের একদল দুর্বৃত্ত।

এক পর্যায়ে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে গ্রামের লোকজন তাদের ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায় তারা। পরে দুর্বৃত্তদের মারপিটে আহত হাসমত আলীকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত ৪ জুলাই ও ৫জুলাই রাতে মাথাইচাপর গ্রামের আলহাজ¦ জাহাঙ্গীর আলমের সেচ পাম্পের পাঁচটি ও আবু রায়হানের দুইটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে।

এসব ঘটনায় থানায় পৃথক লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো চোর শনাক্ত হয়নি। উদ্ধার হয়নি চুরি হওয়া মালামালও। সেচ পাম্পের কাজে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক মোহাম্মদ আলীর সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমারটি বিদ্যুতের খুঁটিতে নেই। পাশের বহুমুখি সেচ প্রকল্পের ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে দুর্বৃত্তরা ব্যর্থ হলেও তার পাম্পের ট্রান্সফরমারটি নির্বিঘ্নেই চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগী ওই কৃষক বলেন, সকালে মাঠে এসে দেখেন সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ নেই।

পরে দেখেন বিদ্যুতের খুঁটিতে ট্রান্সফরমারই নেই। তিনি আরো বলেন, বিগত একবছরের মধ্যে দুইবার তার পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। একটি ট্রান্সফরমারের দামসহ অফিসে খরচ হয় প্রায় ৭৫ হাজার টাকা। তাই চুরির আতঙ্কে রাতে ঘুম হয় না।

শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল কার্যালয়ের কর্মকর্তা (ডিজিএম) রথিন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিয়মিত ট্রান্সফরমার চুরি করছে। পরিকল্পিতভাবে ফাঁকা ও নির্জন মাঠের সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরি করছে তারা। চক্রটির কাছে পল্লী বিদ্যুৎ ও কৃষক অসহায় হয়ে পড়েছে। থানায় অভিযোগ দিয়েও  কোনো কাজ হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এই ট্রান্সফরমার চুরির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে দক্ষ লোক ছাড়া কেউ ট্রান্সফরমার চুরি করতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS