ভিডিও

বগুড়া জেলা পরিষদ বাংলোর সরকারি গাছ কেটে বিক্রি

জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হবে : ইউএনও

প্রকাশিত: জুলাই ০৮, ২০২৪, ১০:০২ রাত
আপডেট: জুলাই ০৮, ২০২৪, ১০:০২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে টেন্ডার ছাড়াই অবৈধভাবে রাতের অন্ধকারে জেলা পরিষদের ডাক বাংলোর সরকারি গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়েছে গাছ কাটার কাজে আসা অন্তত ২০ শ্রমিক।

জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুকুল মিঞার নির্দেশে ইউক্যালিপটাস, পাইকরসহ দুই লাখ টাকা মূল্যের বেশ কয়েকটি গাছ কাটা হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার (৮ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির জানান, রণবাঘা এলাকায় জেলা পরিষদের ডাক বাংলোর জায়গার সরকারি গাছ বিক্রির টেন্ডার হয়েছে কিনা সঠিক কোন তথ্য নেই।

গাছগুলো কেটে নিচ্ছে খবর পেয়ে সেখানে প্রশাসনের লোকজন পাঠানো হয়। শ্রমিকরা কাটার কাজ বন্ধ করে গাছগুলো ডাক বাংলোর ভেতরে রেখে পালিয়ে গেছে। যারা গাছ কেটেছে তাদের কাছে কাগজপত্র চেয়েছি। এসিল্যান্ডের কাছে কাগজপত্র দেওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত তারা কাগজপত্র দাখিল করেননি। যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হবে বলে জানান ইউএনও।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রণবাঘা বাজারের পাশে জেলা পরিষদের ডাক বাংলোর জায়গায় থাকা বেশ কয়েকটি গাছ এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে টাকা নিয়েছেন জেলা পরিষদের সদস্য মুকুল মিঞা। গত শনিবার রাত থেকে গাছগুলো কাটা হচ্ছিল। গতকাল রোববার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়।

অভিযোগ অস্বীকার করে বগুড়া জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুল মিঞা বলেন, আমি সেখানে যাইনি। গাছ বিক্রি করে টাকা নেয়ার বিষয়টি মিথ্যা। আমি জানি ভুলক্রমে কেউ দু’চারটা গাছ কেটেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান বিষয়টি দেখছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS