বগুড়া রথযাত্রা ট্রাজেডি
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় রথযাত্রা ট্রাজিডিতে নিহত সাধারণ পূর্ণাথীদের খোঁজ খবর নিলেন না ইস্কন‘র ধর্মগুরুরা। ইস্কন এই রথযাত্রার আয়োজন করলেও দায় এড়িয়ে দূরে দূরে থাকছেন বগুড়া ইসকনের অধ্যক্ষ।
গতকাল রোববার শহরের সেউজগাড়ি থেকে ইস্কন আয়োজিত রথযাত্রা বের হয়। রথযাত্রা শুরুর পর পরই বৈদুতিক তারের সংস্পর্শে এসে ঘটে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৪০ জন। এই বিপুল সংখ্যাক মানুষের হতাহতেও টনক নড়েনি তাদের। গতকাল ইস্কন মন্দির চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে তাদের রান্নাঘরে চলছে রান্নার আয়োজন। অন্যান্য কাজও চলছে যথারীতি।
সে পর্যন্ত কোন সেবক বা ধর্মগুরু যাননি হাসপাতালে। যাননি নিহতদের বাড়িতে। ইস্কন সেবক ও প্রভুর এমন আচরণে ক্ষুদ্ধ নিহত এবং আহতদের পরিবারের সদস্যরা। হতাহতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করে বলেন, বিভিন্ন ব্যক্তি সংস্থা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেও ইস্কন‘র পক্ষ থেকে কোন খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি। এত মানুষকে নিয়ে বিশাল একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাও ছিলো অপর্যাপ্ত। নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হলে এমন দুর্ঘটনা ঘটতো না।
ইসকন আনন্দ আশ্রমের অধ্যক্ষ খরাজিতা কৃষ্ণদাস জানান, তারা শিবগঞ্জে গিয়েছিলেন ওই মর্মান্তিক ঘটনায় তাদের সেবক অলকের সৎকার করতে। এ কারণে এ ঘটনায় নিহত অপর চারজনের বাড়িতে বা হাসপাতালে যেতে পারেন নি।
তিনি আরও বলেন, রথের চূড়া ধাতুর না করে কাঠের করলে কোন সমস্যা ছিলো কিনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চোর পালালে বুদ্ধি বের হয়। এধরনের ঘটনা ঘটবে সেটা কেউ জানতো না তাই এই ভুল হয়েছে। আহত নিহতদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা খোজ খবর নিবেন। ইসকন ঢাকা থেকে নেতৃবৃন্দরা আসবেন। তিনিও খোঁজ খবর নিবেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।