সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি ১১দিন ধরে বিপদসীমার ওপরে রয়েছে। গত তিনদিন ধরে পানি ধীরগতিতে কমলেও এখনও বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেশিরভাগ বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট, মাঠ ও নিচু এলাকাসহ ফসলি জমি রয়েছে পানির নিচে। এতে বানভাসীদের মাঝে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।
বন্যায় মানুষের মতো গবাদিপশুও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জেলার সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার গবাদিপশু এখনও পানিবন্দী। পলিথিন কিংবা কাপড়ের তৈরি ছাউনি করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উঁচু স্থানে রাখা হয়েছে তাদের।
আজ রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার বলেন, গত ৬ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি এক সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইসাথে কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার গবাদিপশু পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে কাজীপুর, সদর ও চৌহালী উপজেলায় বেশি। চরাঞ্চলে নিচু এলাকার ঘাস পানিতে তলিয়ে গেছে।
আমরা তালিকা করছি, যাতে প্রান্তিক ও দরিদ্র খামারিরা গবাদিপশুর খাদ্য পায়। গবাদিপশুর জন্য পাঁচটি মেডিকেল টিম গঠন করেছি। তারা নিয়মিত বানভাসি কৃষক ও খামারিদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।