ভিডিও

পানিবন্দি বগুড়ার সারিয়াকান্দির ৪৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ দিন ধরে বন্ধ

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৪, ১০:২৩ রাত
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২৪, ০২:১৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : গত কয়েকদিন ধরেই বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে। এতে উপজেলার ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গত ১০ দিন ধরে শ্রেণি কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি কমে গেলে আবারও শুরু করা হবে শ্রেণি কার্যক্রম। আর একটি বিদ্যালয় নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে।

সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি গত ৪ জুলাই বিপৎসীমা অতিক্রম করে। তবে গত কয়েকদিন থেকেই পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমলেও এখনো আজ রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ উপজেলার ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিবন্দি রয়েছে।

এগুলোর মধ্যে ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গত ১০ দিন ধরেই শ্রেণি কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। পানিবন্দি হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো-চর আগ বোহাইল, পৌতি বাড়ী, চর মাঝিরা, চর মাজবাড়ী, নয়াপাড়া, চকরথিনাথ, বয়রাকান্দি, ঘুঘুমারি, ঘুঘুমারী দক্ষিণপাড়া, কেষ্টিয়ারচর, পাকুরিয়ার চর, বেনীপুর, চর দিঘাপাড়া, ময়ূরের চর, গজারিয়া, কাশিরপাড়া, কুড়িপাড়া, চরবাটিয়া, চর চালুয়াবাড়ী, পার দেবডাঙ্গা, দক্ষিণ হাটবাড়ী, নিজতিত পরল, করমজাপাড়া, শিমুলতাইড়, ধলির কান্দি, ভাঙ্গড় গাছা, বহুলা ডাঙ্গা, বিরামের পাঁচগাছি, আউচারপাড়া, উল্লাডাঙ্গা, চর দলিকা, মানিক দাইড়, বেড়া পাঁচবাড়িয়া, ধারা বর্ষা, চর ডাকাত মারা, চর কর্ণিবাড়ী, দক্ষিণ শংকরপুর, শংকরপুর, পাকেরদহ এবং উত্তর টেংরাকুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

পানিবন্দি হওয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো হলো- উত্তর টেংরাকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়, আওচারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বোহাইল উচ্চ বিদ্যালয়, জামথল উচ্চ বিদ্যালয় এবং শোনপচা উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া গত কয়েকদিন আগে উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী ভাঙনের শিকার হয়। ফলে বিদ্যালয়টি নিলাম দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এ বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম এখন অন্যত্র চালানো হচ্ছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান বলেন, পানিবন্দি হওয়ার কারণে উপজেলার ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। যেহেতু পানি কমে যাচ্ছে, তাই শিগগিরিই আবারও যথানিয়মে শ্রেণি কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS