ভিডিও

গাইবান্ধায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে কৃষি ও মৎস্য খাত

দ্রুত নেমে যাচ্ছে বন্যার পানি

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৪, ০৫:১৮ বিকাল
আপডেট: জুলাই ১৬, ২০২৪, ০৫:১৮ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধায় দ্রুত নেমে যাচ্ছে বন্যার পানি। বন্যায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি ও মৎস্যখাত। এখনও বন্যার পানিতে গাইবান্ধার সাত উপজেলার ১৬৫ চর পানির নিচে রয়েছে। রয়েছে।

এদিকে দীর্ঘদিন পানিতে নিমজ্জিত থাকায় জেলার প্রধান অর্থকরি ফসল পাটক্ষেত নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া রোপা আমন, তিল, কালাই, বাদাম, ভুট্টাসহ অন্যান্য শাকসবজির ক্ষেত পানিতে ডুবে থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন কৃষকরাও।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম জানান, বন্যায় জেলার ৬ হাজার ৪৩৬ হেক্টর জমি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এরমধ্যে ৩ হাজার ৯৭৩ হেক্টর জমির ফসল পুরোপুরি নষ্ট হতে পারে। ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে ৬৬ হাজার ৮৬৯ জন কৃষক।

এতে প্রাথমিকভাবে কৃষকের ৭৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারজান রহমান জানান, বন্যায় এ পর্যন্ত গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ৩৪৭ জন মৎস্যচাষি ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। ৯৬ দশমিক ৪৭ হেক্টর আয়তনের ৪৫৭টি  পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।

এরমধ্যে ৪ কোটি ৬৩ লাখ ২২ হাজার টাকা মূল্যের বড় মাছ, ২৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকার পোনামাছ ও ৩৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের অবকাঠামোর ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মাহফুজুর রহমান জানান, বন্যার কারণে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ গবাদি পশু ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। খামারিদের জন্য ১৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় গবাদি পশুর জন্য রুচিবর্ধক ঔষধ, স্যালাইন ও ভিটামিন ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী গতকাল সোমবার বিকেল ৩টা অবধি ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১০ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

অন্যদিকে ঘাঘটে বিৎসীমার ৫৪ সে.মি. নিচে এছাড়া তিস্তার পানি ৫৪ সে.মি. নিচে ও করতোয়ার পানি বিপৎসীমার ১০২ সে.মি. নিচে প্রবাহিত হওয়ার খবর মিলেছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS