সভাপতির মামলা : স্বাক্ষর জালেরও অভিযোগ
কোট রিপোর্টার : বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬১ লাখ ৯ হাজার ৩৯০ টাকা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক হতে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার খামার পাড়ার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে।
শিবগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপুরের মৃত জসিম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক বাদি হয়ে ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুল ইসলামকে আসামি করে গত ১৫ জুলাই সোমবার বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলালা দায়ের করেন। ওই আদালতের বিচার সুকান্ত সাহা বাদির জবানবন্দী গ্রহণ করেন এবং মামলার অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সিআইডি’র প্রতি আদেশ দেন।
আদালতে দায়েরকৃত মামলার অভিযোগে বাদি মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আবু বক্কও ছিদ্দিক উল্লেখ করেন যে মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনের জন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন কিছু সম্পত্তি ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের ফোর লেনের প্রয়োজনে সরকার কতৃৃক অধিগ্রহণ করা হয়।
ওই অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণের জন্য ৩৪ লাখ ৩১ হাজার ৪২৪ টাকা ৪৭ পয়সার চেক সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে উত্তোলনের কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুল ইসলাম সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে জালিয়তি প্রতারণার মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এছাড়াও আসামি ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের স্থাপনার ক্ষতিপূরণের ১৪ লাখ টাকা অনুমোদনহীন মিডল্যান্ড ব্যাংকে জমা করে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলনসহ আত্মসাৎ করেন।
২০২১ সালের ৭ আগস্ট হতে ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট এর মধ্যে ১৭ টি চেকের মাধ্যমে ও ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক শিক্ষক মোঃ আশরাফুল ইসলাম মোকামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬১ লাখ ৯ হাজার ৩৯০ টাকা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক হতে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন মর্মে অভিযোগে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।