ভিডিও

নাশকতাকারী যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : রংপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৪, ০৮:৪৬ রাত
আপডেট: জুলাই ২৫, ২০২৪, ০৮:৪৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

হুমায়ুন কবীর মানিক, সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, রুহুল ইসলাম রয়েল, রংপুর থেকে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ বিস্মিত হয়েছি, হতবাক হয়েছি। আমরা কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েছি এই ভেবে যে, বাঙালি এই ধ্বংসযজ্ঞ কীভাবে করতে পারে। পরবর্তীতে মনে হয়েছে, এই বাঙালিইতো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করেছে। এই বাঙালিরাই আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। এই ঘটনাটাই আমাদের সবকিছু মনে করিয়ে দেয়। তবে নাশকতাকারী যেই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত নাশকতাকারীরা চিহ্নিত না হবে, ততক্ষণ আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার রংপুর এরিয়া মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও সাবেক এমপি এডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সংসদ সদস্য জাকির হোসেন, আসাদ্জ্জুামান বাবলু প্রমুখ।

এর আগে গত ১৬ জুলাই থেকে পরবর্তি রংপুরে যে সহিংসতা ঘটে তার একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী করা হয়। সেটি পরিচালনা করেন রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তাজহাট থানা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবন, মহানগর ডিবি কার্যালয়, নবাবগঞ্জ ফাঁড়ি, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার কষ্ট হয়, আওয়ামী লীগ অফিস যখন ভাঙচুর করলো,তখন আপনারা নেই। অথচ আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ভিডিওতে দেখা গেল মাত্র কয়েকজন এই রকম ঘটনা ঘটিয়েছে। আপনারা সেখানে অবস্থান নিয়ে সন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীদের প্রতিহত করতে পারতেন। আমাদের রংপুরের আওয়ামী লীগে দুর্বলতা রয়েছে। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে, আওয়ামী লীগকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। কেননা আমরা বীরের জাতি, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে খালি হাতে আমরা শুধুমাত্র জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছি। যারা যারা দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে, থানা লুট করেছে, ভার্সিটির সম্পদ নষ্ট করেছে, ভিসিকে হত্যার চেষ্টা করেছে, সবাইকে চিহ্নিত করা হবে, যারা অর্থায়ন করেছে তাদের চিহ্নিত করা হবে। বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা কাউকে ছাড় দেব না, যে পর্যন্ত আমরা সবাইকে শনাক্ত করতে না পারবো, সে পর্যন্ত আমাদের পুলিশের, র‌্যাবের, বিজিবির ও আনসারের অভিযান চলবে। সেই সাথে পাশে সেনাবাহিনী আছে এবং থাকবে।

তিনি বলেন,সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে একটি গোষ্ঠী নাশকতা করছে। যার ফলে দেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। তবে এই নাশকতার সাথে জড়িত কেউই রেহাই পাবেন না। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS