রংপুর জেলা প্রতিনিধি : রংপুরের হাঁড়িভাঙা আমের এখন দেশজুড়ে খ্যাতি। চলতি বছর ফেব্রæয়ারি মাসে এই আম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। হাঁড়িভাঙা আম ব্যবসায়ীদের বুক ভরা আশা ছিল এবার ব্যবসা ভালো হবে, লাভ হবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না তাদের। অনেক আক্ষেপ করে কথাগুলো বললেন মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ এলাকার আম ব্যবসায়ী তারাজুল ইসলাম।
তারাজুলের মতো আমবাগান চুক্তি নেওয়া কয়েকশ’ ব্যবসায়ী আম বিক্রি করা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। দেশজুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাত সহিংসতার পর কারফিউ জারিসহ নানা পদক্ষেপের কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। এদিকে বিভিন্ন আমবাগানের চাষিদের সাথে চুক্তি করে যেসব নতুন উদ্যোক্তা অনলাইনে আম বিপণনে নেমেছিলেন, তারাও দিশাহারা।
রংপুরের নারী উদ্যোক্তা কেয়া তালুকদার (৫০) আগে ঢাকায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় চাকরি করতেন। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফিরে আসেন রংপুরে। নতুন করে চাকরির পেছনে না ছুটে হয়েছেন উদ্যোক্তা। অনলাইনে খাবার সরবরাহসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে চার বছর ধরে হাঁড়িভাঙা আমের ব্যবসায় ঝুঁকেছেন। হাঁড়িভাঙা আমের ব্যবসায় কেয়া তালুকদারের মতো ৫০ জনের বেশি নারী যুক্ত হলেও চলমান পরিস্থিতিতে তারা পুঁজি হারাতে বসেছেন, এমনটাই দাবি করেন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছর রংপুর জেলায় ৩ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙা আমের চাষ করা হয়েছে ১ হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে। এবছর আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ হাজার মেট্রিক টন ধরা হলেও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে।
রংপুর বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান মÐল বলেন, সবারই স্বপ্ন ছিল হাঁড়িভাঙা আমের ভালো ব্যবসা হবে। শেষ মুহূর্তে এসে দেশের পরিস্থিতিতে আম ব্যবসায়ীদের সেই আশা হয়তো পূরণ হচ্ছে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।