স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টানা কয়েক দিনের আন্দোলনে জনজীবন ছিল স্থবির। এর ওপর কারফিউ ও সাধারণ ছুটিতে সারাদেশের মতো অনেকটাই অচল হয়ে পড়ে বগুড়া শহরও।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সেনাবাহিনী দেশের দায়িত্ব নিয়ে আবারও দেশের সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক করতে নানা উদ্যোগ নেয়। তুলে নেওয়া হয় কারফিউ। আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) থেকে খুলেছে সকল অফিস-আদালত। গত কয়েক দিনের দম বন্ধ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ঘর ছেড়ে বের হন মানুষ। তবে বগুড়া শহরে থানায় আগুন, পুলিশ প্লাজায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটসহ অন্যান্য স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়। এতে জনমনে আতঙ্ক দেখা দেয়। শহরজুড়ে এসব ক্ষত চিহ্ন এখনও বিদ্যমান। ছাত্র-জনতার বিজয়োল্লাসের মাঝেই দুর্বৃত্তরা এসব লুটপাট চালায়। এদিকে বিক্ষুব্ধ অনেক মানুষের ক্ষোভ দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের ওপর।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে শহরের দোকানপাট, অফিস-আদালত খুলেছে। রাস্তায় বেরিয়েছে সব ধরনের যানবাহন। তবে সকাল থেকেই শহরের যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কোন ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় শহরের সড়কে বিশেষ করে প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে শহরে আসা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ও যানজট নিয়ন্ত্রণে ছাত্রদের দায়িত্ব নিতে দেখা গেছে। সাতমাথায় বেশ কয়েকজন ছাত্র নিজ উদ্যোগে যানজট নিরসনে সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করায় কোন যানজট বা সড়কে বিশৃঙ্খলা চোখে পড়েনি। বিভিন্ন যানবাহনের চালকরাও স্বেচ্ছাসেবী ছাত্রদের নির্দেশনা মেনে সড়কে গাড়ি চালাচ্ছেন। কোন হয়রানি ছাড়াই ছাত্রদের এমন দায়িত্বশীল আচরণে মুগ্ধ শহরে আসা মানুষ। বিগত দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহন কিছুটা কম থাকলেও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ছাত্রদের ভূমিকার প্রশংসা করছেন সবাই।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।