আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : আদমদীঘি সদর, মুরইল বাজার ও সান্তাহার পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে মৌসুমি ফলের বাজার বসলেও দাম চড়া হওয়ায় ক্রেতারা তা কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। বিশেষ করে আমাদানিকৃত বিদেশি ফলমুল নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
বগুড়ার আদমদীঘি সদর, সান্তাহার পৌরসভা, মুরইল বাজার, নসরতপুর, কুন্দগ্রাম, চাঁপাপুর, ছাতিয়ানগ্রামসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার মোড়ে মোড়ে বসে মৌসুমি ফলমুলের দোকানপাট। এসব দোকানে বিক্রেতারা বিভিন্ন প্রজাতির ফলমুলের পসরা সাজিয়ে ক্রেতাদের আকর্ষণ করেন সর্বদা।
দোকানগুলোতে আমদানিকৃত আপেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, কমলা ৩০০ টাকা, মালটা ২৭০ টাকা, আঙ্গুর ৪৪০ টাকা, বেদেনা ৪৫০ টাকা, খেজুর প্রকার ভেদে ২৪০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে দেশি ফলের মধ্যে পেয়ারা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ড্রাগন ১০০ টাকা, তরমুজ ৭০ টাকা, লটকন ১২০ টাকা, ফজলি আম ৭০ টাকা কেজিদরে ও আনারস প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁঠাল আকার ভেদে প্রতি পিস ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
ফল কিনতে আসা ক্রেতা মিজানুর রহমান, আব্দুল মতিন, ফাতেমা বেগম জানান, বিদেশী ফলগুলো এত বেশি দাম হওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের কিনে খাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তারা বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য এসব ফলের বাজার নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
সান্তাহারের ফল বিক্রেতা আসাদুল হক চান জানান, বিভিন্ন মৌসুমে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী ও জামালগঞ্জ থেকে এই সব ফল কিনে এখান থেকে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে থাকেন। ফলের মেয়াদ পার হলে আমরা অন্য ফল বিক্রি করি।
সান্তাহার থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানের ক্রেতারা ফলমুল পাইকারি দামে কিনে নিয়ে যান। আদমদীঘির ফল ব্যবসায়ী জাহেদুল জানান, পাইকারি বাজারে ফলের দাম বেশি হলে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।