বাকী পরিক্ষা নিয়ে উদ্বেগে শিক্ষার্থীরা
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল গুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে। কোটা বিরোধী আন্দোলন, পরবর্তীতে বৈষম্য বিরোধী ও সরকারের পদত্যাগের একদফা আন্দোলন চলাকালে নিরাপত্তার কারণে বন্ধ করে দেওয়া স্কুল গত ৬ আগস্ট থেকে খোলা হলেও প্রথম দিকে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিলো খুবই কম। চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাতে ভয় করতেন অবিভাবকরা।
এমন পরিস্থিতিতে স্কুলে উপস্থিতি কম ছিলো। তবে সব শঙ্কা দূর করে স্কুলে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বগুড়ার কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ছে। পড়ালেখা হচ্ছে স্বাভাবিক। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা আর স্কুলে আসতে ভয় পায়না। প্রথম দিকে ভয় পেলেও এখন আর ভয় পায়না।
এ দিকে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের অবিভাবকরা জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পরই দেশের পরিবেশ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। প্রথম দিকে তারা দুর্ঘটনার ভয়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পান। পরে দেখতে পারেন কোন সমস্যা নাই তখন তারা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে শুরু করেন।
বগুড়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিরা তাবাসসুম জানায়, তারা নিয়মিত স্কুল যাচ্ছে। বিভিন্ন কোচিং ও প্রাইভেট পড়ছে। তার কোন সমস্যা হচ্ছেনা। একইভাবে বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মেশকাত জানায় সে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে। যে ক‘ দিন স্কুল যেতে পারে নি সেই সময় তার ভালো লাগেনি। এখন স্কুল যেতে ভালো লাগছে।
বগুড়া জিলা স্কুলের নবম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র জানায় তারা নিয়মিত স্কুল যাচ্ছে। তবে তারা একটা শংশয়ে আছে। তারা জানায় বোর্ড নির্ধারিত পরিক্ষা চলতে চলতে তাদের স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আর পরিক্ষা হলো না। তাদের পরিক্ষা হবে কি না এ বিষয়ে কোন নিশ্চয়তা পাচ্ছে না। স্কুল শুরু হলেও পরিক্ষা সংক্রান্ত কোন দিক নির্দেশনা না পাওয়ায় তাদের পড়া লেখা হচ্ছে না।
শিক্ষার্থীরা অতিসত্বর পরিক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহবান জানান। অন্যদিকে নবম শ্রেণি ছাড়াও যে সব শ্রেণির পরিক্ষা চলমান ছিলো সেই সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা অবিলেেম্ব পরিক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহবান জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান ৬ আগস্ট স্কুল খোলার ঘোষনার পর তারা নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছেন। প্রথম দিকে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম থাকলেও এখন উপস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মোস্তফি জানান, তার স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ৪৫ থেকে ৫০ ভাগ। তিনি আরও জানান, বন্ধ হয়ে যাওয়া পরিক্ষার পরিবর্তিত তারিখ এখনো জানা যায়নি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।