ভিডিও

বগুড়ায় সবজির দাম পাইকারিতে কমলেও প্রভাব নেই খুচরাতে 

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৪, ১১:০৫ রাত
আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০২৪, ০৩:১০ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার পাইকারি বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কমলেও প্রভাব পড়েনি খুচরা পর্যায়ে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কমেছে মুরগি, মাছ এবং গরু ও খাসির মাংসের দাম।  

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারসহ বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেঝে, আলু পাইকারিতে আগে ৫২-৬৪ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে চার টাকা পর্যন্ত দাম কমে মানভেদে ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা পর্যায়ে আগের দাম ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। কাঁচামরিচ পাইকারিতে দাম কমে ১৪০ টাকাতে বিক্রি হলেও খুচরাতে আগের দাম ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ দাম কমে ১১০ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা আগের দাম ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ খুচরাতে একই দাম অর্থাৎ ১২০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। পাইকারিতে দাম পড়ছে ১০০ টাকা। এছাড়াও আদার কেজি মানভেদে ২৮০-৩২০, রসুন মানভেদে ২০০-২৪০, শুকনামরিচ ৪০০, পটল, শশা ও ঢেঁড়স ৪০, বেগুন ৫০-৬০, গাজর ৬০, টমাটো ও করলা ১২০ ও চিচিংগা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

চালের বাজারেও গত সপ্তাহের দামেই বেচাকেনা হতে দেখা যায়। তবে মিনিকেট ও নাজরশাইল চালের কেজিতে বেড়েছে চার টাকা পর্যন্ত। বগুড়া ফতেহ আলী বাজারে প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল মানভেদে ৫৪-৫৮, রঞ্জিত ৫৬-৫৮, কাটারিভোগ ৬৬-৬৮ থেকে দাম বেড়ে ৬৭-৭০, মিনিকেট চাল ৬৮-৭০ থেকে দাম বেড়ে ৭০-৭২ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চাল প্রতিকেজি ৮০ টাকা আগের দামেই বিক্রি হতে দেখা যায়। আটা প্রতি এক কেজির প্যাকেট ৪৫ ও খোলা আটাও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। ময়দা এক কেজির প্যাকেট ৬৫, মশুরের ডালের কেজি ১১০-১৩০, মুগ ডাল ১৫০-১৮০, খেসারি ডাল ১০০ থেকে দাম বেড়ে ১০৫ এবং চিনির কেজিতে তিন টাকা পর্যন্ত দাম কমে ১২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৭৮৫-৮১০ এবং এক লিটারের দাম পড়ছে ১৬৫ টাকা।

এদিকে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে ১৫০-১৬০ টাকা এবং ককরেল মুরগি ২৫০ টাকা আগের দামেই বেচাকেনা হচ্ছে। আর দেশি মুরগির কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের হালি আগের দাম ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম কমে ৭০০, যা আগে বিক্রি হয় ৭২০-৭৫০ টাকা। খাসির মাংস দাম কমে ৮৫০-৯০০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। বাজারে ইলিশের পর্যপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম বেশ চড়া। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) আকারভেদে প্রতিকেজি ইলিশ মাছ ৮০০-১৯শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়াও পাবদা মাছের কেজি আকারভেদে ২৫০-৪০০, টেংরা ৩২০-৪৬০, শিং মাছ ২৫০-৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতিকেজি ২৮০-৩২০, তিন কেজি ওজনের কাতল মাছ ৩০০-৩২০, সাড়ে তিন কেজি ওজনের পাঙ্গাস মাস ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS