স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার বাজারে বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। অপরিবর্তিত দামে বিক্রি হচ্ছে বেশ কয়েকটি সবজি। তবে কমেছে ইলিশ মাছ ও চিনির দাম।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারসহ বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু মানভেদে ৫৫-৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০-১১৫, আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০-১০৫ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এছাড়াও আদার কেজি ২৮০, রসুন মানভেদে ২০০-২৪০, শুকনামরিচ ৪০০, বেগুনের দাম বেড়ে ৭০-৮০, পটল, মুলা ও মিষ্টিলাউ ৪০, ঝিংগা, বরবটি ও কাকরোল ৮০, করলা ৬০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়।
চালের বাজারেও গত সপ্তাহের দামেই বেচাকেনা হতে দেখা গেছে। ফতেহ আলী বাজারে প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল মানভেদে ৫৪-৫৮, রঞ্জিত ৫৬-৫৮, কাটারিভোগ ৬৭-৭০, মিনিকেট ৭০-৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চাল প্রতিকেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। আটা প্রতি এক কেজির প্যাকেট ৪৫ ও খোলা আটাও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। ময়দা এক কেজির প্যাকেট ৬৫, মশুরের ডালের কেজি ১১০-১৩০, মুগ ডাল ১৫০-১৮০, খেসারি ডাল ১০০ থেকে দাম বেড়ে ১০৫ এবং চিনির কেজিতে তিন টাকা পর্যন্ত দাম কমে ১২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৭৮৫-৮১০ এবং এক লিটারের দাম পড়ছে ১৬৫ টাকা।
এদিকে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ১৬০-১৬৫ টাকা এবং সোনালী মুরগির কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ২৬০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। আর দেশি মুরগির কেজি ৪৮০ টাকা। ডিমের হালিতে দু’টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়।
এদিকে বাজারে ইলিশের পর্যপ্ত সরবরাহ লক্ষ্য করা গেছে। গত সপ্তাহের চেয়ে বেশিরভাগ ইলিশের কেজিতে ৫শ’ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। তারা বলছেন, ৬শ’-৮শ’ গ্রামের প্রতিটি ইলিশ মাছ আগে এক হাজার থেকে ১১শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও গতকাল তা ৭শ’-৮শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও এক কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ আগে দুই হাজার থেকে ২২শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও তা দাম কমে ১৩শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সুস্বাদু এই মাছটির দাম কমার প্রভাবে ভিড় দেখা গেছে ইলিশ বিক্রির দোকানগুলোতে। এছাড়াও পাবদা মাছের কেজি আকারভেদে ২৫০-৪০০, টেংরা ৩২০-৪৬০, শিং মাছ ২৫০-৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতিকেজি ৩২০-৩৪০, সাড়ে চার কেজি ওজনের কাতল মাছ ৩২০-৩৪০, তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।