সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ‘পঁচার বাজার-হাট’ এর সরকারি খাস জমি বেহাত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রায় কোটি টাকা মূল্যের এই জমি উদ্ধারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন ইউপি সদস্য সাইদার রহমান।
এ বিষয়ে আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের পঁচার বাজার-হাট এলাকায় গিয়ে জানা যায়, অবৈধভাবে সরকারি জমি ভোগদখলের ঘটনা। এদিকে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পঁচার বাজার হাটের ৭৮ শতক সরকারি খাস জমি রয়েছে।
এরমধ্যে তফসিল অনুযায়ী ১ নম্বর খাস খতিয়ানভূক্ত সাদুল্লাপুর-ঠুটিয়াপুকুর রাস্তার পশ্চিম পাশে ৩০৭০ নম্বর দাগে ৭০ শতক ও পূর্ব পাশে ৩২৩৯ নম্বর দাগে ৮ শতক। যার ৭০ শতক জমি জনস্বার্থে ব্যবহার হলেও বাকি ৮ শতক জমি অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তুলে ভোগদখল করে আসছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। যার মূল্য প্রায় কোটি টাকার ওপর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরকারি খাস জমিতে কোন ব্যক্তি স্থাপনা নির্মাণ করলে সেটি দণ্ডনীয় অপরাধে জেল-জরিমানার বিধান থাকলেও তা প্রয়োগ হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এ তথ্য নিশ্চিত করে ভাতগ্রাম ইউপি সদস্য ছাইদার রহমান বলেন, অবৈধভাবে দখলদারীর হাত থেকে ওই ৮ শতক জমি উদ্ধারের জন্য ইতোপূর্বে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
গত ১৫ আগস্ট আবারও ইউএনওসহ একাধিক দফতরে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তা এখনও তদন্ত হয়নি। এই জমিটি উদ্ধার দাবি করছি। ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান বলেন, পঁচার বাজার হাটের ৭৮ শতক জমির মধ্যে ৮ শতক জমি বেহাত রয়েছে বলে শুনেছি।
বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের খতিয়ে দেখা দরকার। অবৈধভাবে হাটের জমি দখলের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পত্র দিয়ে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাতগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওছার হাবীব বলেন, পঁচার বাজার হাটের খাস জমি অবৈধভাবে দখল সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। সেটি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।