স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় আদালতে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৪৬ জনের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫০জনকে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহার আদালতে মামলাটির আবেদন করেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল আলিম। আবেদনটি আমলে নিয়ে বিচারক শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি)কে আবেদনটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওহাব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,ওই মামলায় আহমেদ আকবর সোবহান ও সায়েম সোবহান ছাড়াও আটজনকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও বিডিআর বিদ্রোহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং সিআইডির সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আবদুল কাহার আকন্দ,আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম (হানিফ),পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, ডিবির সাবেক প্রধান হারুন-অর-রশিদ, অতিরিক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান এবং একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক বার্তা সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ।
মামলার উল্লেখযোগ্য আরও আসামিরা হলেন সাবেক সাবরেজিস্ট্রার শাহ আলম ও তাঁর স্ত্রী (সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও স্থানীয় বিএনপির সাবেক নেত্রী) বিউটি বেগম, শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক ইউএনও লুৎফর রহমানসহ আরও অনেকে।
মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বিকালে শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের নাগর বন্দরে ছাত্র-জনতা মিছিল বের করে। এ সময় হুকুমদাতা ওই আট আসামির নির্দেশে সাবেক সাবরেজিস্ট্রার শাহ আলম ও তার স্ত্রী বিউটি বেগমের নেতৃত্বে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেন। এ সময় তারা ককটেল হামলার পাশাপাশি গুলিবর্ষণ করেন। একপর্যায়ে শাহ নেওয়াজ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করলে মুসফিকুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলার কপি গ্রহণ করেছি৷ এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।