সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর আত্মগোপনে গেছেন বগুড়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. মিনহাদুজ্জামান লীটন। তারা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় আওয়ামীলীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা পড়েছেন বিপাকে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর প্রভাবশালী এই দুইজন জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে যান। এদিকে তাদের বিরুদ্ধে থানায় ইতিমধ্যেই হত্যাসহ প্রায় হাফ ডজন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে ওই দুইজন জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় এক হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় ওই সকল নেতা-কর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে পরিবার পরিজন ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এছাড়াও দলের সাধারণ সম্পাদক ও ড. এনামুল হক কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক, এনায়েত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিন, সোনাতলা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ও মধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, বালুয়াহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহেদ, বালুয়াহাট ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ সুলতান মাহমুদ গোল্লা, সরকারি সোনাতলা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক ও পাকুল্যা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক সরকার, একই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সোনাতলা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের প্রদর্শক জুলফিকার রহমান টিটো, কমিশনার নিপুন আনোয়ার কাজল, রবিউল ইসলাম খাঁনসহ প্রায় দেড় হাজার নেতা-কর্মী বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার আতঙ্কে অসুস্থতা দেখিয়ে কর্মস্থলে দিনের পর দিন অনুপস্থিত রয়েছেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানিয়েছেন, বিগত ষোল বছরে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান ও তার ভাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এড. মিনহাদুজ্জামান লীটন ধরাকে সরা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে গেছেন। অপরদিকে তৃণমুলের নেতা-কর্মীরা মামলায় জড়িয়ে গেলেও তাদের কোন খোঁজখবর রাখছেন না। এতে করে তৃণমূল নেতাকর্মীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।