ভিডিও

বগুড়ার সোনাতলায় বস্তায় সবজি চাষ করে বুলবুল এখন অন্য কৃষকের কাছে অনুকরণীয়

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ১০:৫৭ রাত
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ১০:৫৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় বাড়ির আঙ্গিনায় বস্তায় মরিচ, বেগুন, আদা, হলুদ, লাউ, করলা, ঝিঙ্গা চাষ করে অন্য কৃষকের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন কৃষিবিদ গোলাম সোবহানী বুলবুল। তার বিষমুক্ত বাগানের সবজি পারিবারিক চাহিদা মেটানো ছাড়াও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে সরবরাহ করছেন।

সোনাতলা পৌর এলাকার কামারপাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের দ্বিতীয় ছেলে কৃষিবিদ গোলাম সোবহানী বুলবুল। তিনি দীর্ঘ ৩৫ বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে চাকরি শেষে ২০১৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরে যাওয়ার পর তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে বিভিন্ন ধরণের ফসল, সবজি, বীজ উৎপাদনের কাজে মনোনিবেশ করেন।

এভাবেই তিনি বছর দুয়েক আগে তার বাড়ির আঙ্গিনায় বস্তায় মরিচ, বেগুন, আদা, হলুদ, লাউ, করলা, ঝিঙ্গা চাষ শুরু করেন। তার বিষমুক্ত বাগানের সবজি পারিবারিক চাহিদা মেটাচ্ছে। এমনকি পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পর পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যোগান দিচ্ছে। তার বাড়ির আঙ্গিনায় বস্তায় চাষ করা বিভিন্ন ধরণের সবজি পাড়া-প্রতিবেশীসহ অন্য কৃষককে উৎসাহিত করছে।

এ বিষয়ে গোলাম সোবহানী বুলবুল বলেন, সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর বাকি জীবন এলাকার কৃষকদের সাথে কাটানোর জন্য তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। এরপর থেকে শুরু করেন বিভিন্ন ধরনের ফসল, সবজি ও বীজ উৎপাদন।  তার উৎপাদিত দোয়েল ধানের বীজ দেশের ৬০টি জেলায় পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, বাড়ির আঙ্গিনায় বস্তায় সবজি চাষ করার পর কোন সবজি কিনতে হয় না। এতে তার বাজার বাবদ  বাড়তি কোন খরচ নেই বললেই চলে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, গোলাম সোবহানী শুধু সোনাতলায় নয়, দেশের মানুষের কাছে অনুকরণীয়। এবারও তিনি চলতি আমন মৌসুমে ১১০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের উন্নত ধান চাষ করেছেন।

তার ধানের বীজ প্রায় সারাদেশে পাওয়া যায়। এছাড়াও তার বাড়ির আঙ্গিনায় বিষমুক্ত সবজি বাগানও অন্য কৃষকদের কাছে এখন অনুকরণীয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS