স্পোর্টস ডেস্ক : রিয়াল মাদ্রিদ বস কার্লো আনচেলত্তি আগেই নিশ্চিত করেছিলেন, সুপার কাপে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে শুরু থেকেই থাকবেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগোর সঙ্গে আক্রমণভাগে বেশ মানিয়ে নিলেন প্রথম ম্যাচেই। দুটি সুযোগ নষ্ট হওয়ার পর গোল করেছেন এমবাপ্পে। আতালান্তাকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে রিয়াল অধ্যায় শুরু হলো তার।
পোল্যান্ডের ওয়ারশে ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দারুণ জয়ে রেকর্ড ষষ্ঠ উয়েফা সুপার কাপ জিতলো রিয়াল। ২০২২ সালে আগেরবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ ট্রফি জেতা বার্সেলোনা ও এসি মিলানকে ছুঁয়েছিল মাদ্রিদ ক্লাব। এবার তারা টপকে গেলো এই দুই ক্লাবকে। এমবাপ্পে শুরুতে ছিলেন নিষ্প্রভ। দুই দলের কেউই প্রথমার্ধে লক্ষ্যে পরিষ্কার শট রাখতে পারেনি। ১৫ মিনিটে ফেডেরিক ভালভার্দে দারুণভাবে বল বানিয়ে দেন। বক্সের মধ্যে থেকে এমবাপ্পের প্রথম শট ইতালিয়ান ক্লাবের এক ডিফেন্ডার ব্লক করেন। ২৪ মিনিটে আতালান্তার মাতেন ডি রুনের ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে রিয়ালকে ঝুঁকির মুখে ফেলেন এডার মিলিতাও। মাদ্রিদ ক্লাবের ডিফেন্ডারের হেড লাগে ক্রসবারে। ৩৩ মিনিটে আবার আক্রমণে যায় আতালান্তা। লুকম্যান বল নিয়ে বক্সে ঢোকার আগেই চমৎকার ট্যাকলে বলের দখল নেন রুডিগার। পরের মিনিটে ভিনিসিয়ুসের ক্রসে বক্সের মধ্যে বল পেয়েও স্পর্শ করতে পারেননি বেলিংহ্যাম। বিরতির ঠিক আগে ভিনিসিয়ুসের পাসে রদ্রিগো ক্রসবারে আঘাত করলে হতাশায় ভাসে রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে এমবাপ্পে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আকাশের দিকে শট নেন। ৪৭ মিনিটে আতালান্তার এক খেলোয়াড়ের লক্ষ্যে নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে বাঁ হাতের আলতো ছোঁয়ায় রুখে দেন রিয়াল কিপার থিবো কোর্তোয়া। ম্যাচ ঘড়ি এক ঘণ্টার কাঁটা ছুঁই ছুঁই, ভিনিসিয়ুসের বুদ্ধিদ্বীপ্ত পাস। তাকে হতাশ করেননি ভালভার্দে। খালি জালে বল ঠেলে দেন তিনি ৫৯ মিনিটে। দুই মিনিট পর ভিনিসিয়ুস গোলের চেষ্টায় আক্রমণে যান। ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়ে বক্সের প্রান্তে এসে শুধু আতালান্তা গোলকিপারকে পেয়ে জোরালো শট নেন ব্রাজিয়িলান তারকা। উঁচু দিয়ে জোরে ছুটে আসা বল হাত দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন ইতালি ক্লাব কিপার মুসো। ৬৮ মিনিটে গোলের দেখা পান এমবাপ্পে। বক্সের সেন্টার থেকে তার ডান পায়ের শট ঠেকাতে পারেননি মুসো। নতুন ক্লাবে ফরাসি ফরোয়ার্ডের প্রথম গোলে জয় সুনিশ্চিত হয়ে যায়। ৮৩ মিনিটে ব্রাহিম দিয়াজের বদলি করে তাকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেন আনচেলত্তি। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর রদ্রিগোকে উঠিয়ে লুকা মদরিচকে নামান ইতালিয়ান কোচ। শেষ মুহূর্তে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন তিনি। মাঠ ছাড়েন বেলিংহ্যাম ও ভিনিসিয়ুস।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।