ভিডিও

বগুড়ার সোনাতলায় মালচিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৪, ০৭:৪৫ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ২১, ২০২৪, ০৭:৫০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : সারের অপচয় কম, রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষা, জমিতে আগাছা রোধ করণ, ফলন বৃদ্ধি, শ্রমিক খরচ সাশ্রয়, জমিতে আর্দ্রতা ধরে রাখা এবং সেচ সুবিধা পেতে বগুড়ার সোনাতলার কৃষক মালচিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষ শুরু করেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার ৬৫ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৫০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় ১৫ হেক্টর বেশি জমিতে এবার বেগুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই বেগুনের চারা রোপণের কাজ শেষ করেছে কৃষক। এই পদ্ধতিতে বেগুন চাষ কৃষকের কাছে নিরাপদ ও পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মালচিং পদ্ধতির প্রতি ঝুঁকেছে কৃষক। সংশ্লিষ্ট উপজেলায় হাজারী বেগুন (ঝুনকি), পারপল কিং ও বিটি জাতের বেগুনের চাষ হয় বেশি।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কৃষকদের বেগুনের জমি পরিচর্যা করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে উঁচু জমি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, পরিত্যাক্ত জায়গায় মালচিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করতে দেখা গেছে। মুশারপাড়া এলাকার তুহিন মিয়া বলেন, গতবছর তিনি দেড় বিঘা জমিতে পারপল কিং জাতের বেগুন চাষ করে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা আয় করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, সারাবছর জুড়ে বেগুনের চাহিদা রয়েছে। তাই এই ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষিবিভাগ কৃষকদের মালচিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় দিন দিন কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, এই পদ্ধতিতে বেগুন চাষে সারের অপচয় কম হয়।

ফসল রোগ-বালাই কম হয়। ফলন বৃদ্ধি পায়। আগাছা কম হয়। শ্রমিক খরচ কম লাগে। জমিতে আর্দ্রতা ধরে রাখে। সেচ সুবিধায় সাশ্রয় পায়। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, এ পদ্ধতিতে বেগুন চাষে বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা ও পোকামাকড় থেকে ফসল রক্ষা পায়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS