রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীতে পৃথক অগ্নিকান্ডে শতাধিক কবুতর ও বসতবাড়ি ভষ্মীভূত হয়েছে। এর মধ্যে মামুন নামের এক ব্যক্তির শতাধিক সৌখিন কবুতর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শত্রুতার আগুনে পুড়ে সব অঙ্গার হয়ে গেছে।
মামুন রাজশাহীর কাটাখালী পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক। কাটাখালীর শ্যামপুর এলাকায় তার ব্যবসায়িক কার্যালয় ছিল। কার্যালয়ের সাথেই ছিল কবুতরের জন্য আলাদা ঘর। আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে দুর্বৃত্তরা মামুনের কার্যালয়ে আগুন দেয়। এতে কার্যালয়ের পাশাপাশি কবুতরের ঘরটিও পুড়ে যায়। সেখানে থাকা শতাধিক কবুরের একটিও বাঁচতে পারেনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পোড়া ছাইয়ের ভেতর থেকে তখনও ধোয়া বের হচ্ছে। মামুনের কার্যালয় আর কবুতরের ঘরের চিহ্নমাত্র নেই। আসবাবপত্র, ব্যবসায়িক কাগজপত্র সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুধু আধপোড়া কিছু বাঁশ দাঁড়িয়ে আছে। কিছু পুড়ে মারা যাওয়া কবুতর এক জায়গায় জড়ো করে রাখা হয়েছে। বেশকিছু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
কবুতরগুলোর মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশের বাড়িরই এক ব্যক্তি তার কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তাকে মারধরেরও চেষ্টা করেন। আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে আশপাশের লোকজন তার বাড়ি গিয়ে কার্যালয়ে আগুন লাগার খবর দেন। পরে সবাই মিলে এসে আগুন নেভানোর আগেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানার ওসি তৌহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে, বাগমারার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের খাজুর গ্রামে পল্লীবিদ্যুতের আগুনে এক ভ্যানচালকের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই অগ্নিকান্ডে গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি ও নগদসহ বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ওই ভ্যানচালকের প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে খাজুর গ্রামের মৃত গয়ের আলীর ছেলে ভ্যানচালক কোরবান আলীর বাড়িতে পল্লীবিদ্যুতের মেইন লাইনের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। এই আগুন মুহূর্তের মধ্যে পুরো বাড়ির টিনের চালায় ছড়িয়ে পড়ে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।