ভিডিও

হবিগঞ্জে ইজিবাইকচালক হত্যায় তিনজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৪, ০৯:৫৬ রাত
আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০২৪, ০১:৫৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বনগাও গ্রামের আলমগীর মিয়া নামে এক ইজিবাইক চালককে খুন করে টমটম ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনের যাবজ্জীবন ও একজনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত

আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইয়াছিন আরাফাত এ রায় ঘোষণা করেন।

 

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মাধবপুর উপজেলার বেজুড়া গ্রামের মো. সিফন উদ্দিনের ছেলে মুসলিম উদ্দিন প্রকাশ মুসলিম মিয়া (২৪), বানিয়াচংয়ের জাতুকর্ণ পাড়ার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে এ্যাংরাজ মিয়া ওরফে সোহেল (৩৯) ও মাধবপুর উপজেলার খরকী গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে রুবন মিয়া (৩৫)। তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বানিয়াচংয়ের জাতুকর্ণ পাড়ার মেগা মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩৭)।

রায় ঘোষণাকালে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তিনজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রুবেল মিয়া পলাতক ছিল।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে টমটম চালক আলমগীর মিয়ার (২৬) আগুনে পোড়া লাশ অজ্ঞাত হিসাবে উদ্ধার করা হয়। পরে তার পরিচয় শনাক্ত হয়। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার এসআই হাবিবুর রহমান অজ্ঞাতনামা আসামিদেরকে আসামি করে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেন। পুলিশ রুবেল মিয়ার কাছ থেকে চোরাই ইজিবাইক উদ্ধারের পর খুনের রহস্য উদঘাটন করে। পরে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে উপস্থিত করলে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে। মামলাটি চুনারুঘাট থানার এসআই মো. শলাই মিয়া ও এসআই আল আমিন তদন্ত করার পর এসআই আব্দুল মোতালেব তদন্ত শেষ করে ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

আসামিরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে উচ্চ আদালত জামিন না দিয়ে ৬ মাসের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিলে ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার বিকেলে রায় প্রদান করে। 

রাষ্টপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান খান বলেন, তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল এবং ইজিবাইকের ক্রেতা রুবেল মিয়াকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। 

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাতেমা বেগম বলেন, কোনো সাক্ষী এই খুনের ঘটনা দেখেনি বলে সাক্ষ্য প্রদান করা হলেও আসামিদেরকে সাজা প্রদান করা হয়েছে। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS